মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং
মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং

মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত জানাল জান্তা সরকার

আগামী ডিসেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। আজ বৃহস্পতিবার জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রথম দফায় দেশটির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ টাউনশিপে ভোট হবে। মিয়ানমারজুড়ে এখনো লড়াই-সংঘাত অব্যাহত।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ১৮ আগস্ট মিয়ানমারের নির্বাচন কমিশন দেশটির সাধারণ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে। ভোট গ্রহণ শুরু হবে ২৮ ডিসেম্বর। এরপর ধাপে ধাপে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

২০২১ সালে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চির দলের নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করেছিল দেশটির সামরিক বাহিনী।

কিন্তু দেশটির বিশাল এলাকা তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে সু চিকে কারাবন্দী করে রাখা হয়েছে। জান্তা সরকারের অধীন মিয়ানমারের এই নির্বাচনকে ‘প্রতারণা’ বলে বর্ণনা করেছেন জাতিসংঘের একজন বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, চলমান সামরিক শাসন আড়াল করতে এই নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছে।

জান্তা সরকার থেকে এখনো পুরো নির্বাচনের সময়সূচি প্রকাশ করা হয়নি। বিজ্ঞপ্তিতে শুধু বলা হয়েছে, ৩৩০টি টাউনশিপের (প্রশাসনিক এলাকা) মধ্যে প্রথম ধাপে ১০২টি টাউনশিপে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ১৮ আগস্ট মিয়ানমারের নির্বাচন কমিশন দেশটির সাধারণ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে। প্রথম দফায় ভোট গ্রহণ হবে আগামী ২৮ ডিসেম্বর। এরপর ধাপে ধাপে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

প্রথম দফায় যেসব টাউনশিপে ভোট হবে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বিস্তৃত ও কম জনবসতিপূর্ণ রাজধানী নেপিডোর সব টাউনশিপ এবং বাণিজ্যিক রাজধানী ও বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনের প্রায় এক–চতুর্থাংশ টাউনশিপে। এই টাউনশিপগুলোতে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ বসবাস করেন।

মিয়ানমারের সেনা–সমর্থিত পত্রিকা গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারে সরকারি ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। যেসব এলাকায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে বহুপক্ষীয় লড়াই চলছে, সেসব এলাকায় ভোট আয়োজনের সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে বিজ্ঞপ্তিতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

যেমন পশ্চিমের রাজ্য রাখাইনে ১৭টি টাউনশিপের মধ্যে মাত্র ৩টি টাউনশিপে প্রথম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই রাজ্যের প্রায় পুরোটা স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) দখলে।

মিয়ানমারে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২০ সালে। সেবারের নির্বাচনে সু চির দল বড় জয় পেয়েছিল। পরে সেনাবাহিনী ভোট জালিয়াতির ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে সরকার উৎখাত করে।

মিয়ানমারে ভোটের সমালোচনা বা ভোটের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের জন্য সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান চালু করা হয়েছে।