নিজেদের বানানো স্কচ এগ ও রেকর্ডের সনদ হাতে দুই ফুড ভ্লগার
নিজেদের বানানো স্কচ এগ ও রেকর্ডের সনদ হাতে দুই ফুড ভ্লগার

রেকর্ডভাঙা স্কচ এগ, ওজন ৮ কেজি

যুক্তরাজ্যে বিশাল আকারের এক স্কচ এগ বানিয়ে রেকর্ড গড়লেন দুই রাঁধুনি। তাঁরা মূলত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানান পদের রান্নার ভিডিও দেখিয়ে আর স্বাদ মূল্যায়ন করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। বরাবরের মতো তাঁদের এবারের স্কচ এগের ভিডিওটিও শোরগোল ফেলেছে। এটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্কচ এগ। একটি বোলিং বলের চেয়েও ভারী এটি। এর মধ্য দিয়ে আগের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন তাঁরা।

রেকর্ডভাঙা দুই রাঁধুনি ফোয়েনিক্স রস ও অলি পিটারসন। গত ১৭ জুন যুক্তরাজ্যের এনফিল্ডে বিশালাকারের ওই স্কচ এগ বানান দুজন।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই ব্রিটিশ খাবারের ওজন ছিল ৭ দশমিক ৮১ কিলোগ্রাম। সাধারণত একটি বোলিং বলের ওজন হয় ৭ দশমিক ২৫ কিলোগ্রাম।

স্কচ এগ একটি জনপ্রিয় খাবার। সাধারণত মাংসের কিমা ও সেদ্ধ ডিম দিয়ে তৈরি করা হয় এটি। সেদ্ধ ডিমের চারপাশে মাংসের পুরু কিমা দিয়ে মুড়ে, পাউরুটির গুঁড়ায় মিশিয়ে তেলে ভেজে এটা বানানো হয়; অনেকটাই যেন আমাদের দেশের মাংস কিংবা ডিমের চপের মতো।

অন্যদিকে বোলিং জনপ্রিয় একটি ইনডোর খেলা। শক্ত উপাদানে তৈরি ভারী, গোলাকার একটি বল গড়িয়ে দেওয়া হয়। সেটি কয়েকটি পিন বা লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করে সেগুলো ফেলে দেয়। বোলিং বলে দুটি আঙুল ও বুড়ো আঙুলের জন্য ছিদ্র থাকে, যা খেলোয়াড়কে বলটি ধরে রাখতে ও গড়িয়ে দিতে সহায়তা করে।

যাহোক, রস আর পিটারসেন যে স্কচ এগ বানিয়েছেন, সেটা এত বড় যে প্রায় ২০ বছরের পুরোনো রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এর আগে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্কচ এগের ওজন ছিল ৬ দশমিক ২ কেজি।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্য, এ দুই ফুড ভ্লগার মূলত রেকর্ড গড়ার জন্যই এত বড় স্কচ এগ বানিয়েছেন। কিন্তু খাবারটি বেশ ভারী হওয়ায় তাঁদের প্রথম প্রচেষ্টা ভেস্তে যায়। দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় সফল হন তাঁরা। কেননা রেকর্ড গড়ার জন্য তাঁদের স্কচ এগটি আস্ত রাখতে হতো।

বিশেষ খাবারটি বানাতে অস্ট্রিচ পাখির বড়সড় ডিম ব্যবহার করেন ওই দুই রাঁধুনি। বানানো হলে সেটি দুই ভাগ করেন। পরে একজন পর্যবেক্ষক খাবারটি মেপে দেখেন। শুধু ডিমটি ১১ দশমিক ৫ সেন্টিমিটর চওড়া ছিল। এর চারপাশে মাংসের পুরুত্ব ছিল ছয় সেন্টিমিটার। আর ডিম ও মাংসসহ আস্ত স্কচ এগের পরিধি ছিল ৭৯ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার। ওজন ৭ দশমিক ৮১ কেজি।