
নয়াদিল্লিতে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেখানে তাঁরা বাণিজ্য ও কৃষি উৎপাদন এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতে পৌঁছান ভ্লাদিমির পুতিন। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান নরেন্দ্র মোদি। এ সময় তাঁরা দুজন করমর্দন ও উষ্ণ আলিঙ্গন করেন।
আজ শুক্রবার সকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে ২১ বার তোপধ্বনি ও গার্ড অব অনার দেওয়ার মাধ্যমে পুতিনের প্রতি সম্মান জানানো হয়। পরে তিনি মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করেন।
দুই নেতা ইউক্রেন ও শান্তি নিয়ে কথা বলেছেন। নরেন্দ্র মোদি বলেন, যুদ্ধে ভারতের অবস্থান নিরপেক্ষ নয়; বরং ‘শান্তির পক্ষে’। এ সময় পুতিন বলেন, ‘ইউক্রেন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের’ জন্য কাজ করছে রাশিয়া।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর দুই নেতা বিবৃতি পড়ে শোনান, যাতে বলা হয়েছে, ২০৩০ সাল পর্যন্ত অর্থনৈতিক প্রকল্প চালু রাখতে সম্মত হয়েছে ভারত ও রাশিয়া।
দুই দেশের মধ্যে বড় ধরনের কোনো প্রতিরক্ষা চুক্তির ঘোষণা আসেনি। তবে জাহাজনির্মাণ শিল্প, বেসামরিক পারমাণবিক শক্তি ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজে বিনিয়োগ নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। রাশিয়া আরও জানিয়েছে, দেশটি ভারতে ‘নিরবচ্ছিন্নভাবে’ জ্বালানি সরবরাহ করবে।
বৈঠক শুরুর কিছুক্ষণ আগে রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার সম্ভাব্য পরিকল্পনা নিয়ে সংলাপের পর ওয়াশিংটনের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় রয়েছে মস্কো।
শান্তিপ্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতার মধ্যে গতকাল ভারত সফরে যান পুতিন। তিনি আবার সতর্ক করেছেন, ইউক্রেনকে অবশ্যই দনবাস অঞ্চল থেকে সরে যেতে হবে, নইলে অঞ্চলটি দখল করে নেবে রাশিয়া।