দ্রুতগতির বন্দে ভারত ট্রেনের উদ্বোধন, ‘জয় শ্রীরাম’ শুনে মঞ্চে উঠলেন না মমতা

হাওড়া স্টেশনে বন্দে ভারত ট্রেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঞ্চে না উঠে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
 ছবি ভাস্কর মুখার্জি

ভারতের সব থেকে দ্রুত গতিসম্পন্ন ট্রেন বন্দে ভারতের ভার্চ্যুয়ালি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কলকাতার হাওড়া স্টেশনের ২২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে এ ট্রেনের উদ্বোধন হয়। আজ কলকাতায় এসে এই ট্রেনের উদ্বোধন করার কথা ছিল মোদির। কিন্তু তাঁর মায়ের মৃত্যুর কারণে কলকাতায় আসতে পারেননি তিনি।

ট্রেনটি পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া থেকে সপ্তাহের ছয় দিন চলবে নিউজলপাইগুড়ি পর্যন্ত। ট্রেনটি দাঁড়াবে বোলপুর ও মালদহ টাউন স্টেশনেও।

বন্দে ভারত ট্রেন চালুর সূচনার মধ্য দিয়ে রেল মানচিত্রে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হলো। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যথাসময়ে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছান। কিন্তু ওই অনুষ্ঠান শুরুর আগেই বিজেপির কর্মী–সমর্থকেরা মমতাকে দেখে বিজেপির পতাকা নিয়ে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেন। এতে ক্ষুদ্ধ হন মমতা। এরপরই মমতা কার্যত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ না দিয়ে মঞ্চের পেছনের সারিতে বসে পড়েন। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব মমতাকে অনুষ্ঠান মঞ্চে বসার আমন্ত্রণ জানালেও তাতে সায় দেননি মমতা।

‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানের কারণে দর্শক আসন থেকেই দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করেন মমতা। প্রধানমন্ত্রীর মোদির উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘আজ আপনার কাছে ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত দুঃখ এবং অপূরণীয় ক্ষতির দিন। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন আপনাকে কাজ এবং প্রচেষ্টার মাধ্যমে মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের শক্তি দেন।’

আজকের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা, নিশীথ অধিকারী, রাজ্যের সংসদ সদস্য সুকান্ত মজুমদার, সুভাষ সরকারসহ রাজ্যের বিরোধী দলীয় নেতা ও বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী প্রমুখ।

কলকাতার হাওড়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে বন্দে ভারত ট্রেন

নতুন ট্রেনটি আট ঘণ্টায় পৌঁছে যাবে নিউজলপাইগুড়ি স্টেশনে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ৯ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসহ উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, ঝাড়খন্ড, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী অথবা তাদের প্রতিনিধিরা। ছিলেন ভারতের রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান বিকে ত্রিপাঠীসহ রেলের শীর্ষ কর্মকর্তারা।