Thank you for trying Sticky AMP!!

ভারতে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ আজ শুক্রবার শুরু হয়েছে। এবারের এই নির্বাচন হচ্ছে সাত দফায়। আসাম, ভারত, ১৯ এপ্রিল

ভারতে লোকসভা নির্বাচন এত দিন ধরে কেন হয়

ভারতের এবারের লোকসভা নির্বাচনচক্রের ব্যাপ্তিকাল ৪৪ দিন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনচক্রের ব্যাপ্তিকাল ছিল ৩৯ দিন। অর্থাৎ এবারের নির্বাচনচক্রের ব্যাপ্তিকাল আগের চেয়ে বেশি।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের দেশ ভারতে এবার ১৮তম লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে। দেশটিতে মোট সাত দফায় এই ভোট হবে।

আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) প্রথম দফার ভোট। বাকি দফার ভোট হবে যথাক্রমে ২৬ এপ্রিল (দ্বিতীয় দফা), ৭ মে (তৃতীয় দফা), ১৩ মে (চতুর্থ দফা), ২০ মে (পঞ্চম দফা), ২৫ মে (ষষ্ঠ দফা) ও ১ জুন (সপ্তম দফা)। ভোট গণনা ৪ জুন। অর্থাৎ এবারের লোকসভা নির্বাচনচক্রের ব্যাপ্তিকাল ছয় সপ্তাহের বেশি।

Also Read: বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ভারতে ভোটের লড়াই শুরু আজ

লোকসভার মোট আসন ৫৪৩টি। আজ প্রথম ধাপে ১০২টি নির্বাচনী আসনে ভোট হচ্ছে। শেষ দফার দিন (১ জুন) ভোট হবে ৫৭টি আসনে।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনচক্রের ব্যাপ্তিকাল এত দীর্ঘ কেন, তার ব্যাখ্যা এক প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

Also Read: লোকসভা নির্বাচনে প্রথম দফায় কোথায় কোথায় ভোট, কারা প্রার্থী

ভোটারসংখ্যা

ভারতে সাধারণ নির্বাচনে ভোট গ্রহণে এতটা সময় লাগার প্রধান কারণ দেশটির আকার ও বিপুল ভোটারসংখ্যা।

এবারের লোকসভা নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য ভোটারসংখ্যা ৯৬ কোটি ৮৬ লাখ। এই সংখ্যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যার দ্বিগুণের বেশি।

Also Read: পশ্চিমবঙ্গে লোকসভার ভোটের প্রথম দিনই তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ

ভৌগোলিক বিস্তার

ভারত একটি বড় আয়তনের দেশ। দেশটির ২৮টি রাজ্য ও ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে কয়েকটিতে এক ধাপে ভোট হয়। তবে বড় রাজ্যগুলোর বিভিন্ন নির্বাচনী আসনে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে ভোট হয়।

উদাহরণস্বরূপ উত্তর প্রদেশের কথা বলা যায়। রাজ্যটির জনসংখ্যা ২৩ কোটির বেশি। এখানে সংসদীয় আসনসংখ্যা ৮০টি। এই রাজ্যের আসনগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন দিনে ভোট হবে।

Also Read: লোকসভা ভোটের আগে প্রার্থীদের চিঠি দিলেন নরেন্দ্র মোদি

নিরাপত্তাব্যবস্থা

ভোট যাতে সহিংসতা ও কারচুপিমুক্ত হয়, তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর তিন লাখের বেশি সদস্য রাজ্য সরকারগুলোর অধীনে থাকা পুলিশ বাহিনীকে সহায়তা করবে।

প্রতিটি দফার ভোটের মধ্যে পর্যাপ্ত ব্যবধান আছে। এর ফলে এই মধ্যবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা এক নির্বাচনী এলাকা থেকে অন্য নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্বপালনের জন্য যেতে পারেন।

কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা দেন। নির্বাচনী কর্মকর্তারা ভোটিং মেশিনগুলো ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যান। ভোট গণনার দিন পর্যন্ত এগুলো সুরক্ষিত রাখেন।