Thank you for trying Sticky AMP!!

তেহরানে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের গুলি

মাসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে তেহরানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়

ইরানের অন্যতম  স্বনামধন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল রোববার পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। শিক্ষার্থীরা দেশটির নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে থাকা মাসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন। দেশটির সামাজিক ও সরকারি গণমাধ্যম সূত্রে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।

ইরানের রাজধানী তেহরানের শরিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে গাড়ি পার্কিং এলাকায় শিক্ষার্থীদের বড় একটা অংশ আটকা পড়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে নিরাপত্তাকর্মীদের শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে দেখা গেছে।  

Also Read: ইরানে ২ সপ্তাহের বিক্ষোভে প্রাণ গেছে ৮৩ জনের: আইএইচআর

নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে থাকাকালে এক নারীর মৃত্যু হওয়ার পর সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে ইরানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে।

কঠোর পর্দাবিধি লঙ্ঘন করে হিজাব না পরায় মাসা আমিনি নামে ২২ বছরের ওই নারীকে আটক করে নৈতিকতা পুলিশ। পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে আমিনি কোমায় চলে যান। পুলিশ আমিনির মাথায় মোটা লাঠি দিয়ে আঘাত করে। আমিনির মাথা গাড়ির সঙ্গে ঠুকে দেওয়া হয়। তবে পুলিশ বলছে আমিনির সঙ্গে পুলিশের এ ধরনের আচরণ ও তাঁর হঠাৎ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার কোনো প্রমাণ মেলেনি।

আমিনির শেষকৃত্য চলাকালে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে বিক্ষোভ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ইরানে বেশ কয়েক বছর এমন অস্থিতিশীলতা দেখা যায়নি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে  শরিফ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের দৌড়ে পালাতে দেখা গেছে। কিছুটা দূর থেকে গুলির শব্দ শোনা গেছে। আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে নিরাপত্তাকর্মীরা মোটরসাইকেলে এসে একটি গাড়িতে গুলি করছে।

Also Read: ইরানে ধরপাকড় ও মৃত্যু বাড়লেও বিক্ষোভের তেজ কমছে না

ওই গাড়িতে থাকা একজন পুরো ঘটনার ভিডিও করছিলেন। ইরান ইন্টারন্যাশনালের খবর বলছে নিরাপত্তাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আবাসস্থলেও হামলা চালিয়েছে। তাদের আবাসস্থল লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়েছে।

সংঘর্ষের খবর শোনার পরে গতকাল সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের বাইরে ভিড় জমে যায়। গত দুই রাত তেহরান ও অন্যান্য শহরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ বেড়েছে। নরওয়েভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটস বলছে বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ইরানে ১৩৩ জন নিহত হয়েছে।

ইরানের সরকার বলছে বহির্বিশ্বের শত্রুরা এ ধরনের বিক্ষোভে উসকানি দিচ্ছে। দেশটির সরকার বিক্ষোভকারীদের কঠোরভাবে দমন করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।