ইরানের সামরিক বাহিনীর একটি মহড়ায় ছোড়া হচ্ছে একটি ক্ষেপণাস্ত্র
ইরানের সামরিক বাহিনীর একটি মহড়ায় ছোড়া হচ্ছে একটি ক্ষেপণাস্ত্র

যেকোনো মুহূর্তে ইসরায়েলের সঙ্গে ‘যুদ্ধ’ শুরু হতে পারে: ইরান

ইসরায়েলের সঙ্গে ‘যুদ্ধ’ যেকোনো মুহূর্তে আবার শুরু হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজা আরেফ। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের হামলা মোকাবিলার জন্য ইরানকে সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়নি। বর্তমানে যা চলছে, তা সাময়িক যুদ্ধবিরতি।

আজ সোমবার এসব কথা বলেন রেজা আরেফ। গত জুন মাসে টানা ১২ দিন ধরে পাল্টাপাল্টি হামলা চালায় ইসরায়েল ও ইরান। ইসরায়েলের হামলায় ইরানের পরমাণু স্থাপনা, সামরিক স্থাপনা ও বেসামরিক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নিহত হন পরমাণু বিজ্ঞানী ও সামরিক কর্মকর্তাসহ হাজারের বেশি মানুষ। পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় দুই দেশ সংঘাত বন্ধ করে।

প্রতিবেশী দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাত আবার শুরুর আশঙ্কার কথা বলেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সামরিক উপদেষ্টা ইয়াহিয়া রহিম সাফাভিও। গতকাল রোববার ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলোকে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য পরিকল্পনা প্রস্তুত’ করছে তাঁর দেশ।

গত জুনে সংঘাত বন্ধের পর থেকেই কিন্তু ইরানকে একের পর এক হুমকি দিয়ে আসছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র। হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে, তেহরান যদি তাদের পরমাণু সমৃদ্ধ কার্যক্রম আবার চালু করে, তাহলে দেশটির পরমাণু স্থাপনাগুলোয় আবার হামলা চালাবে তারা।

জাতিসংঘের পরমাণু নজরদারি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, পরমাণু অস্ত্র না থাকা দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র ইরানই ৬০ শতাংশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে থাকে। ২০১৫ সালের আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী দেশটি ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারবে। পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে ৯০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম প্রয়োজন।