
বাশার আল-আসাদের পতনের পর প্রথমবারের মতো সিরিয়ায় পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। দেশটিতে নির্বাচনী প্রক্রিয়া পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার প্রধান এ খবর জানিয়েছেন।
সিরিয়ার গণপরিষদ নির্বাচন কমিটির প্রধান মোহাম্মদ তাহা আল-আহমদ গতকাল রোববার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানাকে বলেন, আগামী ১৫ থেকে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
গত বছর ডিসেম্বরে বিদ্রোহীদের আকস্মিক অভ্যুত্থানে পতন হয় সিরিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি। আসাদের পতনের পর নতুন শাসকদের অধীন এটি সিরিয়ায় প্রথম পার্লামেন্ট নির্বাচন হতে চলেছে।
ইআরইএম নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নির্বাচন কমিটির আরেক সদস্য হাসান আল-দাঘিম বলেন, নির্বাচিত আসনগুলোর জন্য ভোট দিতে সিরিয়ার প্রতিটি প্রদেশে একটি করে ইলেকটোরাল কলেজ গঠিত হবে।
সিরিয়ার পার্লামেন্টে আসনসংখ্যা ২১০। এর মধ্যে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা এক-তৃতীয়াংশ আসনে সদস্য মনোনীত করবেন। বাকি আসনগুলো নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণ করা হবে।
সম্প্রতি ইআরইএম নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নির্বাচন কমিটির আরেক সদস্য হাসান আল-দাঘিম বলেন, নির্বাচিত আসনগুলোর জন্য ভোট দিতে সিরিয়ার প্রতিটি প্রদেশে একটি করে ইলেকটোরাল কলেজ গঠিত হবে।
চলতি বছরের মার্চে আল-শারা স্বাক্ষরিত একটি অন্তর্বর্তী সংবিধানে একটি ‘পিপলস কমিটি’ গঠনের কথা বলা হয়। একটি স্থায়ী সংবিধান গৃহীত হওয়া এবং একটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত ওই কমিটি অন্তর্বর্তীকালীন পার্লামেন্ট হিসেবে কাজ করবে। এ প্রক্রিয়া শেষ হতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে।
এমন একটি সময়ে সিরিয়ায় নির্বাচনের ঘোষণা এল, যখন দেশটির সাধারণ মানুষের মধ্যে দামেস্কের নতুন শাসকদের নিয়ে বিভক্তি ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে এ মাসের শুরুতে সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় সুয়েইদা প্রদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর জনমনে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
চলতি বছরের মার্চে আল-শারা স্বাক্ষরিত একটি অন্তর্বর্তী সংবিধানে একটি ‘পিপলস কমিটি’ গঠনের কথা বলা হয়। একটি স্থায়ী সংবিধান গৃহীত হওয়া এবং একটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত ওই কমিটি অন্তর্বর্তীকালীন পার্লামেন্ট হিসেবে কাজ করবে। এই প্রক্রিয়া শেষ হতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে।
ওই সংঘাতে কয়েক শ মানুষ নিহত হয়েছেন। সুয়েইদা প্রদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পর সিরিয়ার অভ্যুত্থান–পরবর্তী নাজুক রূপান্তর প্রক্রিয়া ভেঙে পড়ার হুমকিতে পড়েছে। দুই সপ্তাহ আগে শুরু হওয়া ওই সহিংস সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছিল অস্ত্রধারী বেদুইন গোষ্ঠী ও দ্রুজ ধর্মীয় সংখ্যালঘু যোদ্ধাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অপহরণকে কেন্দ্র করে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কথা বলে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী সুয়েইদা প্রদেশে গিয়েছিল। কিন্তু বলা হয়, বাস্তবে তারা বেদুইন গোষ্ঠীগুলোর পক্ষেই অবস্থান নিয়েছিল।
খবরে বলা হয়, সরকারি সেনাদের কেউ কেউ বেসামরিক দ্রুজদের হত্যা করেছেন এবং ঘরে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি লুটপাট চালিয়েছেন।
সে সময় দ্রুজ সংখ্যালঘুদের রক্ষার কথা বলে ইসরায়েল সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরে বিমান হামলা চালিয়েছিল।