শিশুদের নিয়ে গান করছেন গাজার সংগীতশিক্ষক আহমেদ আবু আমশা
শিশুদের নিয়ে গান করছেন গাজার  সংগীতশিক্ষক আহমেদ আবু আমশা

ড্রোনের আতঙ্ক কাটাতে গান

ধ্বংসস্তূপের ভেতরেও তিনি খুঁজে পেয়েছেন বেঁচে থাকার সুর। সারাক্ষণ মৃত্যুভয় ও বিকট বিস্ফোরণের শব্দে ভীত শিশুদের দেখাচ্ছেন অভিনব লড়াইয়ের পথ। গাজার সংগীতশিক্ষক আহমেদ আবু আমশা শেখাচ্ছেন, ড্রোনের শব্দে আতঙ্ক নয়, কীভাবে সেই শব্দ হয়ে উঠতে পারে গানের সুর।

ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজা নগরের একটি স্কুলে বাচ্চাদের গান শেখান আবু আমশা। তাঁর কথায়, ‘ড্রোন দেখলে শিশুরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। আমাকে বলে, স্যার, এই শব্দে আমরা ক্লান্ত। তখন বলি—না, আমাদের এই শব্দের সঙ্গে সুর মিলিয়েই গাইতে হবে।’

এই সরল ভাবনাই হয়ে উঠেছে আবু আমশার বড় শক্তি। আকাশে ইসরায়েলি ড্রোনের ভনভন শব্দ যখন ভয় জাগায়, তখন তাঁর শিক্ষার্থীরা এর সঙ্গে গলা মিলিয়ে গেয়ে ওঠে। এরপরে সেই গান ভিডিও করে দেয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। হাজারো মানুষ তাদের গান শুনে অনুপ্রাণিত হয়।

কোথা থেকে এমন ভাবনা—এই প্রশ্ন করতেই আবু আমশা বললেন, ‘আমাদের খারাপ কিছুকে ভালো কিছুতে রূপান্তর করতে হবে। তাই আমরা গান গাই। শিশুরা প্রায়ই একসঙ্গে গান গায়। যুদ্ধের ভয়ংকর শব্দকে সংগীতে বদলে দেওয়া আর সেটাকে সুন্দর কিছুতে রূপান্তর করাই এর উদ্দেশ্য।’