ফ্লোটিলার দুটি নৌযানে ড্রোন হামলার অনুমতি দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু

গত ৮ সেপ্টেম্বর তিউনিসিয়ার বন্দরে নোঙর করা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা বহরের নৌযানে হামলা হয়
ছবি: রয়টার্স

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা বহরের দুটি নৌযানে অবৈধভাবে ড্রোন হামলা চালাতে সরাসরি অনুমতি দিয়েছিলেন। গত মাসের শুরুতে এ ঘটনা ঘটে।

ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখী ওই দুটি নৌযান তিউনিসিয়ায় নোঙর করা ছিল। এ বিষয়ে অবগত মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ এমন খবর দিয়েছে।

প্রকাশ্যে কথা বলার অনুমতি না থাকায় ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তাঁদের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি। তাঁরা বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী একটি সাবমেরিন থেকে ড্রোন উড়িয়ে তিউনিসিয়ার সিদি বো সাঈদ বন্দরের বাইরে নোঙর করা নৌযানগুলোতে দাহ্য সরঞ্জাম ফেলে। এতে সেগুলোতে আগুন ধরে যায়।

গত ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর একটি পর্তুগিজ পতাকাবাহী নৌযান এবং একটি ব্রিটিশ পতাকাবাহী নৌযানকে আলাদা করে নিশানা করা হয়েছিল। তবে ওই হামলায় কেউ হতাহত হয়নি।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও সশস্ত্র সংঘাত সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী, যেকোনো পরিস্থিতিতেই বেসামরিক মানুষ বা বেসামরিক স্থাপনার ওপর দাহ্য সরঞ্জাম দিয়ে হামলা নিষিদ্ধ।নেতানিয়াহু এ ব্যাপারে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৪০টির বেশি নৌযান নিয়ে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নৌবহরটি গাজার উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। এসব নৌযানে প্রায় ৫০০ লোক ছিলেন।

গত বুধবার গাজার জলসীমায় প্রবেশের আগেই নৌবহর বা ফ্লোটিলাতে হানা দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। ওই দিনই কিছু নৌযান জব্দ ও আরোহীদের আটক করা হয়। পরের দিন একটি ছাড়া অন্য সব নৌযান জব্দ ও আরোহীদের আটক করা হয়। গতকাল শুক্রবার সর্বশেষে নৌযান ম্যারিনেটও আটক করে ইসরায়েলি বাহিনী।