Thank you for trying Sticky AMP!!

টুইটার কার্যালয়ের মেঝেতে ঘুমিয়ে ভাইরাল হওয়া কর্মীও হারালেন চাকরি

টুইটারের সদর দপ্তরের মেঝেতে ঘুমানোর ছবিটি ভাইরাল হয়েছিল

নতুন করে কর্মী ছাঁটাই করেছে টুইটার। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহ শেষে কমপক্ষে ২০০ কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। আর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, টুইটারের সদর দপ্তরের মেঝেতে ঘুমিয়ে ছবি ভাইরাল হওয়া কর্মকর্তা এসথার ক্রফোর্ডকেও ছাঁটাই করা হয়েছে।

প্রযুক্তি সংবাদবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জের সম্পাদক অ্যালেক্স হিথ এবং নিউজ লেটার প্ল্যাটফর্মের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জো শাইফারের টুইটের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে। গত বছরের অক্টোবরে ইলন মাস্ক টুইটারের মালিকানা কিনে নেওয়ার পর থেকে এ নিয়ে কোম্পানিতে অষ্টম দফায় ছাঁটাই হলো।

টুইটারের ব্লু টিক সাবস্ক্রিপশন সেবার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং পণ্য ব্যবস্থাপক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন ক্রফোর্ড। অ্যালেক্স হিথ ও জো শাইফার টুইটারে লিখেছেন, ক্রফোর্ডসহ পণ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সব কর্মীকেই ছাঁটাই করা হয়েছে।

টুইটারের সদর দপ্তরের মেঝেতে ঘুমানোর একটি ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক আলোচনায় এসেছিলেন এসথার ক্রফোর্ড। ওই ছবিতে দেখা যায়, একটি স্লিপিং ব্যাগের মধ্যে চোখে মাস্ক লাগিয়ে ঘুমোচ্ছেন ওই কর্মকর্তা। ইভান জোন্স নামের টুইটারের এক পণ্য ব্যবস্থাপক প্রথম ছবিটি শেয়ার করেছিলেন। সে ছবি রিটুইট করে ক্রফোর্ড লিখেছিলেন, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করতে মাঝেমধ্যে কর্মস্থলে ঘুমাতে হতে পারে।’

ছবিটি প্রকাশ হওয়ার পর এ নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়েছিল। অনেকে তখন টুইটারে কাজের চাপ ও কর্মপরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।

 দ্য ভার্জের তথ্য অনুযায়ী, ইলন মাস্ক টুইটারের মালিকানা কেনার পর প্রতিষ্ঠানটির জনবল ৭০ শতাংশের বেশি কমে গেছে। ট্রাম্প যখন দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তখন টুইটারে সাড়ে সাত হাজার কর্মী ছিল। এখন তা কমে দুই হাজারের নিচে নেমে গেছে।

গত বছরের নভেম্বরে মাস্ক টুইটারে আর ছাঁটাই করবেন না বলে অঙ্গীকার করেছিলেন। তবে সে অঙ্গীকারের পরও ৪ দফায় ছাঁটাই করেছেন এ ধনকুবের।