সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠছেন সন্দেহভাজন খুনি
সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠছেন সন্দেহভাজন খুনি

কার্কের সন্দেহভাজন হত্যাকারীকে আটক করা হয়েছে: ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীল রাজনৈতিক কর্মী ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র চার্লি কার্কের সন্দেহভাজন হত্যাকারীকে আটক করা হয়েছে। ট্রাম্প নিজেই এ খবর জানিয়েছেন। তাঁকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ব্যাপক অভিযান চালানোর পর সন্দেহভাজন হত্যাকারীকে আটক করা সম্ভব হলো।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ অঙ্গরাজ্যে গত বুধবার আততায়ীর গুলিতে নিহত হন কার্ক। পরে আজ শুক্রবার সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমার মনে হয়, তাঁকে (হত্যাকারী) ধরতে পেরেছি। তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে আমার।’ সন্দেহভাজন হত্যাকারীর পরিচিত এক ব্যক্তিই তাঁকে ধরিয়ে দিয়েছেন বলে জানান ট্রাম্প।

তবে আটক ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন ৩১ বছর বয়সী কার্ক। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের মধ্যে রিপাবলিকান দলের সমর্থন বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। ইসলাম, গাজায় ইসরায়েলের হামলা, কুখ্যাত যৌন নিপীড়ক জেফ্রি এপস্টেইন ও সাম্প্রতিক ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে বিতর্কিত আলোচনা করতেন কার্ক।

ট্রাম্প আটকের খবর দেওয়ার আগে মার্কিন তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, তাঁরা একটি রাইফেল উদ্ধার করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই রাইফেল কার্ককে হত্যায় ব্যবহার করা হয়েছিল। সন্দেহভাজন এক ব্যক্তির ছবিও প্রকাশ করেন তাঁরা। এ ছাড়া সন্দেহভাজন ব্যক্তি হিসেবে কালো গেঞ্জি, কালো সানগ্লাস ও ক্যাপ পরা এক ব্যক্তির ছবি প্রকাশ করেছিল গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই।

ইউটাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে একটি বিতর্ক অনুষ্ঠান চলাকালে কার্ককে হত্যা করা হয়। ওই অনুষ্ঠানের নাম ‘প্রুভ মি রং’ বা ‘আমাকে ভুল প্রমাণ করো’। এতে প্রায় তিন হাজার মানুষ অংশ নিয়েছিলেন।

এফবিআই ও অঙ্গরাজ্যের কর্মকর্তারা বলছেন, অনুষ্ঠান শুরুর কয়েক মিনিট আগে হত্যাকারী ক্যাম্পাসে ঢোকেন। এরপর তিনি ঘটনাস্থলের কাছে একটি ভবনের ছাদে অবস্থান নেন। কার্কের ঘাড়ে গুলি করার পর তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যান। তার পর থেকেই ওই ব্যক্তিকে আটকের অভিযান চলছিল।