অমর একুশে ভাস্কর্যের পলেস্তারা খসে পড়ছে

অমর একুশে ভাস্কর্যের নিচের অংশ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা ছবি: প্রথম অালো
অমর একুশে ভাস্কর্যের নিচের অংশ থেকে  খসে পড়ছে পলেস্তারা ছবি: প্রথম অালো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য অমর একুশে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকলে যে কারোরই চোখে পড়বে ভাস্কর্যটি। ভাষা আন্দোলন ও ভাষাশহীদদের স্মরণে নির্মিত ভাস্কর্যটির নিচের অংশ থেকে পলেস্তারা খসে পড়েছে প্রায় তিন বছর আগে। এখনো এর সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম শাহনাওয়াজ বলেন, ‘নানা দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ এ ভাস্কর্য আমাদের জাতিসত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত। এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এটি অযত্নে পড়ে আছে, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’
শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলেন, ভাস্কর্যটির মূল রং ছিল ধূসর। কিন্তু অযত্ন আর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এটি এখন কালচে হয়ে গেছে। শেওলা ও ধুলাবালি জমে গেছে ভাস্কর্যটির বিভিন্ন জায়গায়।
বিভিন্ন বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েক বছর আগে ভাস্কর্যের পেছনের দিকে একটি ফাটল দেখা দেয়। দীর্ঘদিনেও সেই ফাটল মেরামত না করায় সেখান থেকে পলেস্তারা খসে পড়েছে। ভাস্কর্যের বেদির চারপাশে ইটের তৈরি ধাপ রয়েছে। সেখান থেকেও ইট খুলে গেছে। এ ছাড়া বেদির পশ্চিম পাশে স্থাপিত নামফলকটিও মুছে গেছে। ভাস্কর্যটির স্থপতি, উদ্বোধনের তারিখ ইত্যাদি তথ্য ফলকে উল্লেখ থাকলেও এখন আর তা পড়ে বোঝার উপায় নেই।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক সুস্মিতা মরিয়ম বলেন, শিক্ষার্থীরা অনেকবার ভাস্কর্যটি সংস্কারের জন্য প্রশাসনকে জানিয়েছে। কিন্তু এত দিনেও সংশ্লিষ্ট কেউ কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
জানতে চাইলে সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমরা খেয়াল করেছি। কিছুদিনের মধ্যেই এটি সংস্কারের উদ্যোগ নেব।’