চলচ্চিত্র অভিনেতা মিজু আহমেদ আর নেই

বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের জ্যেষ্ঠ অভিনেতা মিজু আহমেদ (৬৪) আর নেই। গতকাল সোমবার রাতে ঢাকা থেকে দিনাজপুরে যাওয়ার পথে ট্রেনে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মিজু আহমেদকে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে আনা হলে সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান অভিনেতা রিয়াজ, অমিত হাসান, ওমর সানী, আমিন খান, মিশা সওদারগরসহ পরিবারের সদস্যরা।
চলচ্চিত্র অভিনেতা ওমর সানী প্রথম আলোকে বলেন, একটি চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের জন্য ট্রেনে করে দিনাজপুরের উদ্দেশে গতকাল কমলাপুর স্টেশন থেকে যাত্রা করেন মিজু আহমেদ। পথে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হলে সহযাত্রী ও রেলকর্মীরা তাঁকে বিমানবন্দর স্টেশনে নামান। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ওমর সানী আরও বলেন, শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় এফিডিসিতে নেওয়া হবে। এখানেই তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এফিডিসি থেকে তাঁর মরদেহ নেওয়া হবে কুষ্টিয়ায় গ্রামের বাড়িতে। সেখানেই তাঁকে দাফন করা হবে।
মিজু আহমেদ স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন। তিনি মূলত খল অভিনেতা হিসেবে বাংলা চলচ্চিত্রে বেশি পরিচিত। তবে প্রযোজক হিসেবেও পরিচিতি ছিল তাঁর।
মিজু আহমেদ ১৭ নভেম্বর ১৯৫৩ সালে কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আসল নাম মিজানুর রহমান। ১৯৭৮ সালে তৃষ্ণা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। কয়েক বছর পর তিনি ঢালিউডে অন্যতম সেরা খলনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। বড় পর্দায় এ পর্যন্ত তাঁর অভিনীত প্রায় ৮০০ ছবি মুক্তি পেয়েছে।
তৃষ্ণা সিনেমায় অভিনয় করে তিনি ১৯৯২ সালে সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।