
যশোরে ‘জঙ্গি আস্তানায়’ শ্বাসরুদ্ধকর ‘মেল্টেড আইস’ অপারেশনের পর কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির সামরিক শাখার দক্ষিণাঞ্চল প্রধান হাদিছুর রহমান ওরফে সাগর ওরফে মশিউর রহমান ও তাঁর স্ত্রী খাদিজা আকতারসহ অজ্ঞাত তিন-চারজনকে আসামি করা হয়েছে। খাদিজা আকতার রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় জড়িত ও পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত জঙ্গি নূরুল ইসলাম মারজানের বোন।
গতকাল সোমবার গভীর রাতে যশোর কোতোয়ালি থানা-পুলিশের পরিদর্শক তোফায়েল আহমেদ বাদী হয়ে সন্ত্রাস দমন আইনে ওই মামলা করেন। মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল বাসারকে। তিনি ইতিমধ্যে তদন্তকাজ শুরু করেছেন।
এদিকে আজ মঙ্গলবার দুপুরে খাদিজা আকতারকে আদালতের মাধ্যমে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁর সঙ্গে থাকা তিন সন্তানের দুজনকে পরিবারের জিম্মায় ও দুগ্ধপোষ্য হওয়ায় একজনকে খাদিজার কাছে রাখা হয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা জানান, আদালতে খাদিজাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে রিমান্ডের জন্য পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ১৯ অক্টোবর।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে গত রোববার রাত দুইটা থেকে যশোর শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া সড়কে একটি বাড়ির চারপাশে পুলিশ অবস্থান নিয়ে ‘অপারেশন মেল্টেড আইস’ নামে অভিযান শুরু করে। বিকেল সোয়া পাঁচটায় তিন সন্তানসহ খাদিজা আকতারের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে অভিযান শেষ হয়। পরে ওই বাড়ি থেকে তিনটি সুইসাইড ভেস্ট উদ্ধার করে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়।
এর আগে খাদিজার শর্ত অনুযায়ী তাঁর বাবা-মাকে ওই বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযানের দুই দিন আগে খাদিজার স্বামী হাদিছুর রহমান ওরফে মশিউর পালিয়ে গেছেন। পুলিশ তাঁকে খুঁজছে বলে ওসি জানান।