
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবাসনের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে আবাসন ভাতা দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয়নি দাবি করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এর ব্যাখ্যা চেয়েছেন। এর জন্য তাঁরা আগামী রোববার পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সময় দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সেখানে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান এ কে এম রাকিব, ফয়সাল মুরাদ, আতিকুর রহমান তানজিল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আরও অনেক শিক্ষার্থী।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ১৫ জানুয়ারি আন্তমন্ত্রণালয়ের মিটিংয়ে তিনটি দফার অন্যতম তৃতীয় দফা ‘আবাসন ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ভাতার ব্যবস্থা’ বিষয়ে কোনো আলোচনা করা হয়নি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আগামী রোববারের মধ্যে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের নির্মাণকাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের চুক্তি অবিলম্বে সাক্ষর; পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের ইস্পাতের তৈরি (স্টিল বেজড) ভবনের নির্মাণকাজ দ্রুত করা এবং যত দিন পর্যন্ত আবাসনের ব্যবস্থা না হয়, তত দিন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে—এই তিন দফা দাবিতে ১২ জানুয়ারি সকালে অনশনে বসেন শিক্ষার্থীরা। ১৩ জানুয়ারি সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। সেদিন সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের প্রথম দুটি দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে ৩৫ ঘণ্টা পর অনশন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা। তবে তাঁরা শাটডাউন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।
শিক্ষার্থীদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পঞ্চম দিনের মতো আজ পালিত হচ্ছে। এতে সব বিভাগে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা আজ আরও জানান, শুধু জরুরি পরিষেবা (মেডিকেল সেন্টার, উন্মুক্ত লাইব্রেরি এবং সেন্ট্রাল লাইব্রেরি), ব্যাংক এবং বিসিএস পরীক্ষার সার্কুলার বিবেচনায় রেখে ২০১৯-২০ সেশনের (১৫তম ব্যাচ) সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা ও রেজাল্ট প্রকাশের কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট বিভাগে চলবে। পাশাপাশি এই ব্যাচের অনলাইনে ক্লাস চলমান থাকবে।