মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে রাখতে ঢাকা সেনানিবাসে ঘোষিত অস্থায়ী কারাগার ভবনটি গতকাল মঙ্গলবার পরিদর্শন করেছেন কারা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। জনবল, নিরাপত্তাসহ আনুষঙ্গিক কী দরকার হবে, সে বিষয়ে খোঁজ নিতে তাঁরা সেখানে গিয়েছিলেন।
গত রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা করার কথা জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঢাকা সেনানিবাসের বাশার রোডসংলগ্ন উত্তর দিকে অবস্থিত ‘এমইএস বিল্ডিং নম্বর-৫৪’কে সাময়িকভাবে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হলো। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হলো। আদেশটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।’
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলের গুম-নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি মামলায় এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা একটি মামলায় মোট ২৫ জন সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সেদিনই এই তিন মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছিল প্রসিকিউশন।
১১ অক্টোবর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৫ কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন কর্মকর্তা অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে (এলপিআর) আছেন।
আজ বুধবার রাতে যোগাযোগ করা হলে কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক (আইজি-প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এমইএসে অস্থায়ী কারাগার পরিচালনায় নিরাপত্তা প্রস্তুতি কেমন হবে ও কী ধরনের জনবল প্রয়োজন হবে, সে বিষয়ে দেখতে ও খোঁজ নিতে কারা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সেখানে গিয়েছিলেন।