Thank you for trying Sticky AMP!!

সন্তানের খোঁজে বেইলি রোডে এসে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কান্নায় ভেঙে পড়েন নাজমুলের বাবা নজরুল ইসলাম

চার বন্ধু মিলে বেইলি রোডে গিয়েছিলেন নাজমুল, তাঁর সন্ধান পাচ্ছেন না বাবা

চার বন্ধু মিলে নাজমুল ইসলাম খেতে গিয়েছিলেন বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে। ভবনটিতে আগুন লাগলে দুই বন্ধু লাফিয়ে নিচে পড়েন। আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গেছে জুনায়েদ নামের নাজমুলের এক বন্ধু। ঘটনার পর থেকে নাজমুলকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বন্ধ রয়েছে তাঁর মুঠোফোন নম্বরটিও।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে সন্তানের খোঁজে বেইলি রোডে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন নাজমুলের বাবা নজরুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘অফিস শেষ করে বাসায় ফিরেই জানতে পারি আমার ছেলে বেইলি রোডে বন্ধুদের সঙ্গে খেতে এসেছিল। ঘটনার পর থেকে ওর মোবাইল নম্বরটি বন্ধ রয়েছে। ঢাকা মেডিকেলসহ স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে খোঁজাখুঁজি করেছি। কোথাও ছেলের সন্ধান পাইনি।’

Also Read: ঢাকা মেডিকেলে স্বজনদের আহাজারি

নাজমুল ইসলাম খেতে গিয়েছিলেন বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে

নজরুল ইসলাম বলেন, তাঁর ছেলে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন।

রাজধানীর বেইলি রোডে একটি বহুতল ভবনে আগুনে অন্তত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। এ ঘটনায় নিহত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ভবনটিতে আগুন লাগে। আগুন নেভানোর পর হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।

Also Read: ঢাকার বেইলি রোডে বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুনে নিহত ৪৩ জন, এ পর্যন্ত যা জানা গেল