আগের দিন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সেক্টর পর্যায়ে পতাকা বৈঠকে সীমান্তে গুলি না ছোড়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন বিএসএফের কিষানগঞ্জ সেক্টর কমান্ডার। আশ্বাসের পরের দিন গত মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রত্নাই সীমান্তে বিএসএফ গুলি ছোড়ে। এতে দুই বাংলাদেশি নাগরিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
তাঁরা উপজেলার তালতলা গ্রামের কলিজুদ্দিনের ছেলে মো. ইদ্রিস আলী (২৫) ও বারুসা গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে চৈতু মিয়া (৩০)।
স্থানীয় ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে ইদ্রিস ও চৈতু রত্নাই সীমান্তের ৩৮২ নম্বর মেইন পিলারের ২ সাব-পিলার এলাকার কাঁটাতারের বেড়ার কাছে অবস্থানের সময় ভারতের ১৪ সোনামতি ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এ সময় তাঁরা গুলিবিদ্ধ হন।
বিজিবি ঠাকুরগাঁও ৩০ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর তৌহিদ-বিন-ইসহাক জানান, ঘটনাটি নিয়ে বিএসএফের সঙ্গে কথা হয়েছে। বিএসএফ দাবি করেছে, ওই দিন ভোরে সাত-আটজনের একদল চোরাচালানকারী কাঁটাতারের বেড়া কাটছিলেন। সে সময় তাঁদের সতর্ক করলে তাঁরা উল্টো বিএসএফের ওপর হামলার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে বিএসএফের টহল সদস্যরা তাঁদের ওপর গুলি ছোড়েন। এতে ইদ্রিস ও চৈতু গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে বিএসএফের কাছে চিঠি দিয়েছে বিজিবি।
এদিকে গত সোমবার ঠাকুরগাঁওয়ের জগদল সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের সেক্টর পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষে ঠাকুরগাঁও সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. আকরামুল হক এবং বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন কিষানগঞ্জ সেক্টর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার এ এস পানওয়ার। বৈঠকে বিএসএফের পক্ষ থেকে বেসামরিক নাগরিকের ওপর গুলি না ছুড়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘রত্নাই সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ হওয়ার তথ্য পেয়েছি। তবে তাঁরা কোথায় চিকিৎসা নিচ্ছেন তা জানা যায়নি।’