Thank you for trying Sticky AMP!!

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মশাল মিছিল

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখোশ পরে হলে ঢুকে হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ছাত্রলীগের একাংশের মশাল মিছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলে ঢুকে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম ও তাঁর দুই অনুসারীকে মারধরের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে ক্যাম্পাসে মশালমিছিল করেছে ছাত্রলীগের একাংশ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে আহত ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দীন আহমেদ ওরফে সিফাতের অনুসারী একটি পক্ষ এ কর্মসূচি পালন করে।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত মশাল মিছিলের আগে তাঁরা সমাবেশ করেন। সমাবেশে বক্তারা বলেন, মুখোশ পরে হলে ঢুকে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ন্যক্কারজনক ও নজিরবিহীন। এটা গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। ঘটনার তিন দিন অতিবাহিত হলেও এ ঘটনায় করা মামলার সব আসামি এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। এটা খুবই দুঃখজনক।

Also Read: মুখোশ পরে হলে ঢুকে ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম, থমথমে ক্যাম্পাস

গত মঙ্গলবার ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলের ৪০১৮ নম্বর কক্ষে ঢুকে ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দীন আহমেদকে বেধড়ক পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে হেলমেট ও মুখোশ পরা দুর্বৃত্তরা। এ সময় ওই কক্ষে থাকা মহিউদ্দীনের দুই অনুসারীকেও মারধর করা হয়। তাঁরা বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সন্ধ্যা সাতটার দিকে মশাল মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক ঘুরে মূল ফটকের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় শরিফুল ইসলাম, তাহমিদ আহমেদ, মো. সোহাগ, মাহমুদুল হাসান নামের কয়েকজন বক্তব্য দেন।

Also Read: মুখোশ পরে হলে ঢুকে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখমের বিচার দাবি, তদন্ত কমিটি

বক্তারা বলেন, হল প্রশাসনের দায়িত্বে অবহেলার কারণেই বহিরাগত সন্ত্রাসীরা হেলমেট ও মুখোশ পরে হলে ঢুকে মহিউদ্দীনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। তাঁরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। ওই সন্ত্রাসীদের সবাইকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত তাঁদের ধারাবাহিক কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

এদিকে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে বন্দর থানা-পুলিশ। গতকাল বুধবার সকালে আহত ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দীন আহমেদ বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা সাতজনকে আসামি করা হয়।

Also Read: প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রলীগ নেতাদের আসামি করে মামলা, গ্রেপ্তার ৩

গ্রেপ্তার চারজন হলেন আলীম সালেহী, রিয়াজ উদ্দীন মোল্লা ও তাঁদের সহযোগী শামীম সিকদার ও শেখ রেফাত মাহমুদ। এর মধ্যে শেখ রেফাত বহিরাগত এবং বাকি তিনজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ছাত্রলীগের রাজনীতি করেন। তাঁরা এক সময় হামলার শিকার মহিউদ্দীনের সঙ্গে রাজনীতি করতেন। তাঁরা সবাই বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারী।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, মামলার চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।