Thank you for trying Sticky AMP!!

কুড়িগ্রামে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, নিম্ন আয়ের মানুষ বিপাকে

কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত। হাড়কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় শ্রমজীবী সময়মতো কাজে বের হতে পারছেন না। আজ সকালে

পৌষের শেষ দিকে উত্তরের হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত। হাড়কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা বিপাকে পড়েছেন। জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।

Also Read: উত্তরে কনকনে শীত, বিস্তৃতি বাড়তে পারে শৈত্যপ্রবাহের

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ শুক্রবার সকাল সাতটায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ রকম নিম্ন তাপমাত্রা আরও দু-এক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত বেশি ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। এ অবস্থায় শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা সময়মতো কাজে বের হতে পারছেন না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের কিছুটা উত্তাপ ছড়ালেও বিকেল হতেই তাপমাত্রা আবারও নিম্নগামী হচ্ছে। গরম কাপড়ের অভাবে আছেন চরাঞ্চল ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা।

Also Read: শীত কুয়াশা দুটোই বাড়তে পারে

মৃদু শৈত্যপ্রবাহে গরম কাপড়ের অভাবে আছেন কুড়িগ্রামের চরাঞ্চল ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা

উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের রহিম মিয়া বলেন, তিনি লাকড়ি কুড়িয়ে যাত্রাপুর ও মোল্লারহাটে বিক্রি করে সংসার চালান। শীত ও কুয়াশার কারণে সকাল সকাল লাকড়ি নিয়ে বাজারে যেতে পারছেন না। তিনি আরও বলেন, ‘খড়ি (লাকড়ি) বিক্রি কইবার না পারলে ছাওয়া-পোয়া (ছেলে-মেয়ে) নিয়ে খাওয়ার খুব অসুবিধা হয়।’

Also Read: আবহাওয়াবিদেরা কেমন করে জানেন কখন শীত পড়বে?

কুড়িগ্রাম ধরলা সেতু এলাকার অটোরিকশাচালক সুজন বলেন, ‘আইজ কুয়াশা কম। সূর্য দেখা গেইলেও বাতাসর কারণে ঠান্ডা খুব বেশি। হাত-পাও বরফ হওয়ার মতো অবস্থা।’

Also Read: ‘মাঘ মাসি শীতের মতন ঠান্ডা নাগেছে’