চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে জব্দ করা প্রসাধন সামগ্রী
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে  জব্দ করা প্রসাধন সামগ্রী

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে দুই যাত্রীর ব্যাগে মিলল মুঠোফোন, প্রসাধন ও সিগারেট

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মধ্যপ্রাচ্যফেরত দুই যাত্রীর কাছ থেকে প্রায় ১১ লাখ টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ বিদেশি সিগারেট, মুঠোফোন ও প্রসাধনী জব্দ করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে ও দুপুরে পৃথক অভিযানে এসব পণ্য জব্দ করা হয়।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এই দুই যাত্রী পৃথক ফ্লাইটে বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এই দুই যাত্রী হলেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির মোহাম্মদ আবু নাসের এবং নগরের চাঁন্দগাও থানা এলাকার মিন্টু দেবনাথ।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, দুই যাত্রী গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করার সময় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) তাঁদের চ্যালেঞ্জ করেন। এ সময় তাঁদের ব্যাগ থেকে ১৬০ কার্টন বিদেশি সিগারেট, ১০টি মুঠোফোন এবং ১৪০টি প্রসাধন সামগ্রী জব্দ করা হয়। অভিযানের সময় বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এরফানুল হক চৌধুরী, বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মী ও বিমানবাহিনীর টাস্কফোর্সের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, উদ্ধার করা পণ্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে জব্দ করা সিগারেট

বিদ্যমান ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী, দুটি ব্যবহৃত মুঠোফোনের পাশাপাশি শুল্ক-কর দিয়ে একজন যাত্রীর প্রতিবার একটি করে নতুন মুঠোফোন আনার সুযোগ রয়েছে। তবে নতুন বিধিমালায় বছরে একবারই একটি মুঠোফোন শুল্ক–কর দিয়ে আনা যাবে, যা কার্যকর হবে আগামী মাসের শুরুতে। এ ছাড়া একজন যাত্রী ২০০ শলাকা সিগারেট আনার সুযোগ রয়েছে। জব্দ করা প্রসাধনী ‘গৌরি ক্রিম’ আমদানি নিষিদ্ধ বলে জানিয়েছে কাস্টমস।