Thank you for trying Sticky AMP!!

বগুড়ায় মহাসড়কে দুই ট্রাকে পেট্রল ঢেলে মুখোশধারীদের আগুন

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে ট্রাকের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। গতকাল সোমবার রাতে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার দশমাইল এলাকায়

বগুড়ার শেরপুরে মুখোশ পরা দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে দুটি ট্রাক পুড়ে গেছে। গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার দশমাইল এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।

শেরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা নাদির হোসেন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মহাসড়কে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে দুটি ট্রাকের চালকের কেবিন পুড়ে গেছে। একটি ট্রাক জয়পুরহাট থেকে কলা নিয়ে যাচ্ছিল সিলেটে। টাইলসের মাটি নিয়ে আরেকটি ট্রাক বগুড়ার কাহালু থেকে ঢাকায় যাচ্ছিল। তাঁরা দ্রুত পানি ঢেলে ট্রাকের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুনে টাইলসের মাটিবোঝাই ট্রাকটির কেবিনের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে গেছে। কলাবোঝাই ট্রাকের চালকের কেবিন কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Also Read: পার্ক করে গেলেন বাড়িতে, খবর পেয়ে এসে দেখলেন ট্রাকে আগুন জ্বলছে

টাইলসের মাটিবোঝাই ট্রাকটি চালক আসলাম ফকির। তাঁর বাড়ি বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানার চকসুখানগাড়ি। তিনি বলেন, রাত ১১টায় তিনি তাঁর ট্রাকটি নিয়ে শেরপুরে দশমাইল এলাকায় পৌঁছালে মুখোশধারী ১৫ থেকে ২০ জন ব্যক্তি মহাসড়কের ওপরে উঠে আসে। এ সময় তিনি গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এরপর মুখোশধারীদের নির্দেশমতো তাঁকে এবং তাঁর সহকারীকে ট্রাক থেকে নামানো হয়। এরপর মুখোশধারীরা তাঁর ট্রাকের চালকের কেবিনে বোতল থেকে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। একইভাবে তাঁর পেছনে আসা সিলেটগামী কলাবোঝাই ট্রাকেও আগুন ধরিয়ে দিয়েছে মুখোশধারীরা।

Also Read: বগুড়ার শেরপুরে খড়বাহী চলন্ত ট্রাকে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা

ট্রাকচালক আসলাম ফকির বলেন, বগুড়া থেকে ২০–২৫টি ট্রাক নিয়ে একত্রে তাঁরা ঢাকার দিকে যাচ্ছিলেন। তাঁর ট্রাকটি ছিল সবার সামনে। মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা তাঁর গাড়ি ও তাঁর পরের কলার গাড়িতে যখন আগুন দেয়, এরপর বহরে থাকা অন্য গাড়িগুলো দ্রুত ঘুরিয়ে বগুড়ার দিকে চলে যায়। দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনের কারণে তাঁর কেবিনে থাকা ছয় হাজার টাকা ও গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পূর্ণ পড়ে গেছে।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত মুখোশ পরা ব্যক্তিরা কারা, তা নিয়ে পুলিশে অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে। দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।