Thank you for trying Sticky AMP!!

নির্মাণাধীন ভবনের একাংশ ধসে পড়ার পর উদ্ধারকাজ চালায় ফায়ার সার্ভিস

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন ধসের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ১০ তলা শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান হল ভবন ধসের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি। গত রোববার রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে সিলগালা প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি। আজ বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক তারিকুল হাসান বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন।

অধ্যাপক তারিকুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনটি উপাচার্যের কাছে পাঠানো হয়েছে। পরে সেটি সিন্ডিকেটে উত্থাপন করা হবে।

Also Read: ভবন ধস তদন্তে কমিটি গঠনের চার দিন পর চিঠি ইস্যু

তদন্ত কমিটির সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, তাঁরা গত রোববার সিলগালা করা প্রতিবেদন রেজিস্ট্রার দপ্তরে জমা দিয়েছেন। তবে প্রতিবেদনের বিষয়ে তদন্ত কমিটির কেউই কথা বলতে রাজি হননি। এ বিষয়ে উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

গত ৩০ জানুয়ারি দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের সামনে নির্মাণাধীন শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান হলের মিলনায়তনের একাংশ ধসে পড়ে। এ ঘটনায় ৯ জন আহত হয়েছিলেন। ওই দিন রাতেই জরুরি সভা ডেকে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। ঘটনার চার দিন পর ৪ ফেব্রুয়ারি তদন্ত কমিটির সদস্যদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। ওই দিন থেকে পরবর্তী সাত কার্যদিবস ১২ ফেব্রুয়ারি শেষ হলেও কমিটি প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি। পরে তদন্ত কমিটির সদস্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে আরও সাত কার্যদিবস সময় বাড়ানো হয়। দ্বিতীয় দফা সময় শেষ হওয়ার আগে গত রোববার প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।

Also Read: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন ধসে অন্তত ৭ শ্রমিক আহত

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান আবাসিক হল ও ২০ তলাবিশিষ্ট একাডেমিক ভবনের নির্মাণকাজ করছে রূপপুরের ‘বালিশ-কাণ্ডে’ আলোচিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ওই দুই ভবনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে।

Also Read: চিঠি পৌঁছায়নি, তাই ভবন ধসের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়নি

Also Read: ধসে পড়া ভবনে ‘ঝুঁকি’ নিয়ে কাজ চলছে, উপাচার্য বলছেন ভুল–বোঝাবুঝি