
‘ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে সিঁড়ি দিয়ে তাড়াতাড়ি নিচে নামতে থাকি। চারতলায় নেমে দেখি, লিফটের দরজার এক পাশের পিলারের টাইলস খুলে নিচে পড়ে আছে। টাইলসগুলো ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে।’
আজ শুক্রবার সকালে হওয়া ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে কথাগুলো বলেন বিপাশা রায়। তিনি প্রথম আলোর সাংবাদিক। থাকেন রাজধানীর মিরপুর-১১ নম্বরে।
আজ সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৭। উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মাধবদী। ভূমিকম্পটিকে মাঝারি মাত্রার বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বিপাশা রায় তাঁর অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বলেন, ‘সকালে হঠাৎ তীব্র ঝাঁকুনি শুরু হলে বুঝতে পারি ভূমিকম্প হচ্ছে। আটতলা ভবনের ছয়তলায় থাকি আমরা। ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে সিঁড়ি দিয়ে তাড়াতাড়ি নিচে নামতে থাকি। চারতলায় নেমে দেখি, লিফটের দরজার এক পাশের পিলারের টাইলস খুলে নিচে পড়ে আছে। টাইলসগুলো ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে।’
পরে দ্রুত ভবনের নিচে নেমে যাওয়ার কথা জানিয়ে বিপাশা রায় বলেন, ‘গিয়ে দেখি, এলাকার অনেক লোক রাস্তায় নেমে এসেছেন। তাঁরা সবাই আতঙ্কিত।’
আতঙ্কিত লোকজন অনেকক্ষণ রাস্তায় অবস্থান করছিল বলে জানান বিপাশা রায়। তিনি বলেন, সবাই আফটার শকের (পরাঘাত) আশঙ্কা করছিলেন। তাই তাঁরা ভবনে ফিরতে সময় নিচ্ছিলেন। পরে ধীরে ধীরে লোকজন বাসায় ফেরেন।
ভূমিকম্পটি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল। ভূমিকম্পে বড় ভবন পর্যন্ত নড়ে ওঠে। চেয়ার-টেবিলসহ অন্যান্য আসবাব কাঁপতে থাকে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আতঙ্কে লোকজন ভবন থেকে দৌড়ে নিচে নেমে আসে।