আজ রোববার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসের সকালে রাজধানী ঢাকার বায়ুর মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’। আজ সকাল সোয়া আটটার দিকে ঢাকার বায়ুমান ২০১। বায়ুর মান ২০০-এর বেশি হলে তাকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। আর ৩০০-এর বেশি হলে তা হয় ‘দুর্যোগপূর্ণ’। গত শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঢাকার বায়ুমান ৩০০ পার হয়েছিল এই সময়ে।
বায়ুদূষণে আজ সকালে বিশ্বের নগরীগুলোর মধ্যে শীর্ষে ভারতের নয়াদিল্লি। বায়ুর মান ২৩৬। আজ বিশ্বের ১২৭ নগরীর মধ্যে দূষণে ঢাকা পঞ্চম।
বায়ুদূষণের এই পরিস্থিতি তুলে ধরেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। প্রতিষ্ঠানটি বায়ুদূষণের অবস্থা নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়, সতর্ক করে।
বায়ুদূষণ মোকাবিলায় বিভিন্ন সময় প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এখনো নানা উদ্যোগ-কথাবার্তা শোনা যায় হয়। কিন্তু বায়ুদূষণ পরিস্থিতির দিন দিন খারাপ হচ্ছে। এটা শুধু যে ঢাকায়, তা নয়, সারা দেশে। কোনো কোনো দিন ঢাকাকে ছাপিয়ে যাচ্ছে দেশের অন্যান্য শহরের বায়ুর মান।
আজ সকালে বায়ুর মানের নিরিখে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা খুলনার। এই নগরীর বায়ুর মান আজ ২৫৩। গত বুধবার একই সময় উপকূলীয় এই শহরের বায়ুর মান ছিল ২৭৭।
বায়ুদূষণে আজ খুলনার পরে আছে রাজশাহী। উত্তর জনপদের এই শহরের বায়ুর মান ১৭২। রংপুরের বায়ুর মান ১৬৭, ময়মনসিংহের বায়ুর মান ১৬২, বরিশাল ১৪১, সিলেট সিলেট ১২২ ও চট্টগ্রাম ৯৭।
গবেষকেরা বলছেন, বায়ুদূষণ একেবারে দেশজুড়ে ছড়িয়ে গেছে। কিন্তু বায়ুদূষণ কমানোর বিষয়টি রাজধানীর ক্ষেত্রে যতটা প্রাধান্য পায়, অন্য শহরগুলো ততটা পায় না। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, রাজধানীর চেয়ে অন্য শহরগুলোর বায়ুদূষণের মাত্রা বেশি।
আজ ঢাকার পাঁচ স্থানের বায়ু বেশি দূষিত। স্থানগুলো হলো—পল্লবী দক্ষিণ (৩৩০), মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং (২৩৯), গোড়ান (২২৫), বে’জ এজ ওয়াটার (২২১) ও কল্যাণপুর (২০৯)।
চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ধারাবাহিকভাবে ঢাকা বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষের দিকে থাকছে। ঢাকার বায়ুমান খুব অস্বাস্থ্যকর দেখা যাচ্ছে প্রায় প্রতিদিনই। আজ তা খুব অস্বাস্থ্যকর।
আইকিউএয়ারের পরামর্শ অনুযায়ী, আজ ঢাকার বায়ুর যে মান, তাতে বাইরে বের হলে অবশ্যই মুখে মাস্ক পরতে হবে। বাড়ির বাইরে গিয়ে ব্যায়াম না করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। আর ঘরের জানালাগুলো যতটুকু সম্ভব বন্ধ রাখতে হবে।