
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন বানচাল করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিন ইয়ামিন বলেন, ডাকসু নির্বাচন বানচাল করার জন্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ভয় দেখানের জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।
বিন ইয়ামিন আরও বলেন, যাঁরা এই ক্যাম্পাসে পূর্বের কায়দায় ককটেল, বোমা ও লাশের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পরিবেশ বিনষ্ট করবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে, তাদের ‘কালো হাতকে’ শিক্ষার্থীরা সমুচিত জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।
বিন ইয়ামিন দাবি করেন, ডাকসু নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য একটি গোষ্ঠী ওতপ্রোতভাবে লেগে আছে। ডাকসুর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে ইয়ামিন বলেন, ছাত্রদের নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কখনো সুচারুরূপে ফাংশন (ঠিকঠাক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া) করা সম্ভব নয়। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের ও ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা দেওয়া কোনোভাবে সম্ভব নয়। এ জন্যই ডাকসু নির্বাচন দরকার।
বিন ইয়ামিন বলেন, ‘সুতরাং যাঁরা ইনিয়েবিনিয়ে বিভিন্ন ছুতা দিয়ে বলতে চাচ্ছেন যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ নেই, তাঁদের উদ্দেশে বলব, তাঁরা হয়তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়েও ডাকসু কী এবং কেন দরকার, সেটি জানেন না।’
এর আগে সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ মুজিবুর রহমান হলের পাশে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। এ ছাড়া আইন অনুষদের সামনে থেকে সাতটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ প্রথম আলোকে জানান।