
বিএনপির সদ্যপ্রয়াত চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসভবনে গেছেন তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমান।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা ২০ মিনিটে বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, গতকাল রাতে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শেষ সময়ে তিনি তাঁর মায়ের পাশেই ছিলেন। পরিবারের অন্য সদস্যরা শেষ সময়ে খালেদা জিয়ার পাশে ছিলেন।
খালেদা জিয়া আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার থেকে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া আগামীকাল তাঁর জানাজার দিনে সাধারণ ছুটি থাকবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর ভাষণে এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আমি তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক এবং আগামীকাল তাঁর নামাজে জানাজার দিনে এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছি।’
আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজধানীর বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতাল এলাকা আর দশটা দিনের মতো ছিল না। বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবরে হাসপাতালের সামনে জড়ো হতে থাকেন হাজারো মানুষ। নেতা-কর্মী, সমর্থক, সাধারণ মানুষ—সবাই মিলিয়ে জায়গাটি পরিণত হয় শোক, নীরবতা ও আবেগের এক প্রাঙ্গণে।
হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের চোখেমুখে ছিল গভীর শোকের ছায়া। কেউ চুপচাপ দাঁড়িয়ে, কেউ চোখ মুছছেন, কেউ আবার দুই হাত তুলে দোয়া করছেন। ভিড়ের মধ্যে কোথাও কান্নার শব্দ, কোথাও দীর্ঘশ্বাস—সব মিলিয়ে এক ভারী আবহ। বিস্তারিত পড়ুন...
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের ফেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, খালেদা জিয়া তাঁর দেশের আধুনিক ইতিহাস গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে তাঁর নেতৃত্ব বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বাংলাদেশের জনগণের প্রতি খালেদা জিয়ার আজীবন ত্যাগ এবং দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে অবদানের কথাও স্মরণ করেন।
আজ মঙ্গলবার সামাজিকমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক টুইটে এ শোক জানান শাহবাজ শরিফ।
বার্তায় শাহবাজ শরিফ বলেন, খালেদা জিয়া পাকিস্তানের একজন নিবেদিতপ্রাণ বন্ধু ছিলেন এবং পাকিস্তান সরকার ও জনগণ শোকের এ মুহূর্তে বাংলাদেশের জনগণের পাশে আছে।
শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘আমরা এ কঠিন সময়ে খালেদা জিয়ার পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে রয়েছি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা যেন তাঁর আত্মাকে শান্তি দান করেন। আমিন।’
এদিকে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারও খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
আজ এক্সে দেওয়া এক বার্তায় এ শোক প্রকাশ করেন ইসহাক দার। বার্তায় তিনি খালেদা জিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শোকবার্তায় বলা হয়, খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে নির্বাচন কমিশন গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছে।
শোকবার্তায় বলা হয়, খালেদা জিয়া বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একজন প্রভাবশালী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি ১৯৯১ সালে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে আরও দুই দফায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ পরিচালনা করেন।
খালেদা জিয়া তাঁর রাজনৈতিক জীবনে বহুদলীয় গণতন্ত্র, সাংবিধানিক শাসনব্যবস্থা ও রাজনৈতিক অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন বলে শোকবার্তায় উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, তিনি দীর্ঘদিন বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবেও সংসদীয় রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আপসহীন ভূমিকা পালন করেন।
ইসি বলেছে, নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের বিকাশে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক ভূমিকা বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। নির্বাচন কমিশন তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছে। শোকসন্তপ্ত পরিবার, স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছে।
স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠকটি হবে বলে জানিয়েছেন দলের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। শায়রুল কবির খান জানান, জরুরিভাবে স্থায়ী কমিটির বৈঠকটি হবে। বাসসের খবরে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ মঙ্গলবার আনুমানিক দুপুর ১২টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। তাঁর এই ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে একযোগে প্রচার করা হবে।
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ মঙ্গলবার এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মোদি এই শোক প্রকাশ করেন।
মোদি লিখেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মারা যাওয়ার খবর জেনে তিনি গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর পরিবার ও বাংলাদেশের সব মানুষের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা। এই শোকাবহ ক্ষতি সহ্য করার শক্তি যেন সর্বশক্তিমান তাঁর পরিবারকে দান করেন। বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশের উন্নয়ন ও ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক জোরদারে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ২০১৫ সালে ঢাকায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে উষ্ণ সাক্ষাতের কথা তিনি স্মরণ করেন। আশা করছেন, তাঁর দূরদর্শিতা ও উত্তরাধিকার দুই দেশের অংশীদারত্বকে ভবিষ্যতেও পথ দেখাবে। তাঁর আত্মা শান্তিতে থাকুক।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই সংবাদটি (খালেদা জিয়ার মৃত্যু) নিয়ে আপনাদের সামনে দাঁড়াতে হবে, এটা আমরা কখনো ভাবিনি। আমরা আবার আশা করছিলাম, তিনি আবার আগের মতো সুস্থ হয়ে উঠবেন।’
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই শোক, এই ক্ষতি অপূরণীয়। জাতি কখনোই এটি কাটিয়ে উঠতে পারবে না। বাংলাদেশের রাজনীতি ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে।
খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ফোন করেছেন বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের একটি বিশেষ বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। সেখানে খালেদা জিয়ার জানাজা, রাষ্ট্রীয় সম্মানে দাফনসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক হবে।
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে হাসপাতালের প্রবেশপথ, পার্কিং এলাকা ও আশপাশের সড়কগুলোয় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
পুলিশের গুলশান ট্রাফিক বিভাগের ডিসি মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট করছি। আমাদের একটা পরামর্শ, এটা তো আবেগের জায়গা, সবাই আসবেন, কিন্তু গাড়ি নিয়ে যেন এভারকেয়ারের গেটের আশপাশে ভিড় না করেন।’
এর মধ্যে অনেক গাড়ি আসছে উল্লেখ করে মিজানুর রহমান বলেন, ‘অনুরোধ থাকবে, একেবারে সামনে ও আশপাশের জায়গায় যেন গ্যাদারিং না করা হয়। গাড়িগুলো একটু দূরে রেখে যেন আসেন।’
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়া উদ্যানে তাঁর স্বামী সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে দাফন করা হতে পারে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, খালেদা জিয়ার জানাজা আগামীকাল বুধবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফনের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিএনপি যোগাযোগের চেষ্টা করছে বলেও জানানো হয়।
তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
এক শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে জাতি তার এক মহান অভিভাবককে হারাল। তাঁর মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত।’
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, খালেদা জিয়া শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দলের নেত্রীই ছিলেন না; তিনি ছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তাঁর অবদান, তাঁর দীর্ঘ সংগ্রাম ও তাঁর প্রতি জনগণের আবেগ বিবেচনায় নিয়ে সরকার চলতি মাসে তাঁকে রাষ্ট্রের অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র, বহুদলীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে খালেদা জিয়ার ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর আপসহীন নেতৃত্বের ফলে গণতন্ত্রহীন অবস্থা থেকে জাতি বারবার মুক্ত হয়েছে, মুক্তির অনুপ্রেরণা পেয়েছে। দেশ ও জাতির প্রতি তাঁর অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, রাজনৈতিক মতপার্থক্য সত্ত্বেও জাতির কল্যাণে খালেদা জিয়ার দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রা, গণমুখী নেতৃত্ব ও দৃঢ় মনোবল সব সময় পথ দেখিয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে দেশ একজন অভিজ্ঞ ও পরীক্ষিত রাজনীতিককে হারাল।
খালেদা জিয়া ছিলেন গৃহবধূ। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর সাত মাস পর এক বিশেষ পরিস্থিতিতে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। রাজনীতিতে আসার ১০ বছরের কম সময়ের মধ্যে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হন। প্রায় ৪৩ বছর তাঁর রাজনৈতিক জীবন। গৃহবধূ থেকে রাজনীতিতে এসে খালেদা জিয়া ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন এক দৃঢ়চেতা, সাহসী নেত্রী। তিনি বিপদে-দুর্যোগে বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছিলেন। আর শেষ জীবনে তিনি হয়ে ওঠেন জাতির ‘ঐক্যের প্রতীক’। বিস্তারিত পড়ুন...
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা যান খালেদা জিয়া (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর জানিয়ে লেখা হয়, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আজ সকাল ৬টায় ফজরের ঠিক পরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আমরা তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি ও সবার নিকট তাঁর বিদেহী আত্মার জন্য দোয়া চাচ্ছি।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাঁর ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে বলেন, ‘আমরা গভীর দুঃখের সঙ্গে আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকাহত (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।’
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে শোক জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ওপরে রহম করুন, ক্ষমা করুন এবং তাঁর প্রিয় জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করুন। তাঁর আপনজন, প্রিয়জন ও সহকর্মীদেরকে মহান আল্লাহ সবরে জামিল দান করুন। আমিন।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর নেই! ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তাঁর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত!’
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম তাঁর ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আল্লাহ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক বেগম খালেদা জিয়াকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন। আমিন।’
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর পেয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে আসছেন দলীয় নেতারা।
খালেদা জিয়া আজ মঙ্গলবার সকাল ছয়টায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন খালেদা জিয়া। হাসপাতালে আছেন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ ছাড়া পরিবারের অন্য সদস্যরা হাসপাতালে রয়েছেন। হাসপাতালে আছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, দলের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম। সকাল আটটার পর হাসপাতালে আসেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তাঁর স্ত্রী আফরোজা আব্বাস। এর কিছু পর আসেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। হাসপাতালের সামনে বিএনপির বেশ কিছু নেতা-কর্মীকে অবস্থান করতে দেখা গেছে। খালেদা জিয়ার জানাজা আগামীকাল বুধবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সাত দিন শোক পালন করবে দলটি।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার দাফনের বিষয়ে পরবর্তীতে জানানো হবে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, শোকের সময়ে নেতা-কর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন। বিএনপির সব কার্যালয়ে শোকবই খোলা হবে। এই শোক বইয়ে শোক ও সমবেদনা জানানো যাবে।
গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন কার্যালয়, নয়াপল্টনের দলের প্রধান কার্যালয়সহ সব জেলা-উপজেলায় শোক উপলক্ষে দোয়া ও কোরআন খতম কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান রুহুল কবির রিজভী।