
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণের অবশিষ্ট কাজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর করার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের (পরিকল্পনা-৫ শাখা) উপসচিব আহমেদ শিবলী স্বাক্ষরিত ১৬ জানুয়ারির এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন: ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের অবশিষ্ট কাজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে সম্পন্ন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
এ ক্ষেত্রে প্রকল্পের অবশিষ্ট কাজ এবং দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য প্রকল্প প্রণয়ন কাজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অবশিষ্ট কার্যক্রম সম্পন্ন করার লক্ষ্যে চলমান প্রকল্পের পুনর্মূল্যায়ন ও আরডিপিপি প্রণয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
এদিকে প্রজ্ঞাপন জারির পর আজ রাত আটটার দিকে শাটডাউন কর্মসূচি তুলে নিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের তিন দফার দাবির তৃতীয়টি নিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ না নিলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দিয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, ১২ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে আমাদের তিন দফা দাবি গণ-অনশন কর্মসূচি শুরু হয়। ১৩ জানুয়ারি থেকে ক্যাম্পাস শাটডাউন কর্মসূচি শুরু হয়। এতে আমাদের দাবিগুলোর মধ্যে প্রথম দুটি সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের নির্মাণকাজ বুঝিয়ে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে। একই সঙ্গে বানীভবন হল এবং ডা. হাবিবুর রহমান হলের ইস্পাতের তৈরি (স্টিল বেজ) স্ট্রাকচার নির্মাণে সেনাবাহিনীর অন্তর্ভুক্তির বিষয়টিও সামনে এসেছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, যত দিন আবাসনের ব্যবস্থা না হয়, তত দিন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে, এই বিষয়টি এখনো পূরণ হয়নি। এ দাবির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতার বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে একটি কমিটি গঠন করা হবে। ওই কমিটি এ বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে তা সংশোধিত বাজেট বা ২০২৫-২৬ বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করে ইউজিসিতে উপস্থাপন করবে এবং তা বাস্তবায়নে প্রচেষ্টা চালাবে।
অনশনকারী সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের ইসলাম রিওন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ওপর আস্থা রেখে চলমান শাটডাউন তুলে নেওয়া হলো। কিন্তু যদি আমাদের দাবি পূরণের ক্ষেত্রে অগ্রগতি না দেখি, আমরা নতুন কর্মসূচি দেব।’