Thank you for trying Sticky AMP!!

শিক্ষার্থীদের বাসায় থাকার নির্দেশ, পর্যবেক্ষণ করবে প্রশাসন

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সব ধরনের সরকারি–বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনের চলমান ছুটি ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। কয়েক ধাপে বাড়ানোর পর ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এই ছুটি ছিল। সেই ছুটি এবার ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ল। এ সময় শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। শিক্ষার্থীদের বাসস্থানে অবস্থানের বিষয়টি অভিভাবকেরা নিশ্চিত করবেন। স্থানীয় প্রশাসন তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল শুক্রবার এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সময়ে সময়ে জারি করা নির্দেশনা ও অনুশাসন শিক্ষার্থীদের মেনে চলতে হবে। শিক্ষার্থীদের বাসস্থানে অবস্থানের বিষয়টি অভিভাবকেরা নিশ্চিত করবেন। স্থানীয় প্রশাসন তা নিবিড়ভাবে পরিবীক্ষণ করবে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বাসস্থানে রেখে পাঠ্যবই অধ্যয়নে নির্দেশনা দেবেন এবং সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের সম্পৃক্ত করবেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও একই নির্দেশনা দিয়েছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর পড়াশোনা বিঘ্নিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে গত বছরের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। গত বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষাও হয়নি। সংসদের আসন্ন অধিবেশনে শুরুর দিকেই আইনের সংশোধন করে সর্বোচ্চ ২৮ জানুয়ারির মধ্যে উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ফল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষার্থীরা ওপরের শ্রেণিতে উঠেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যমতে, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছেন ৭ হাজার ৮৬২ জন। আর করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৫ জন। আক্রান্ত লোকজনের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৭১ হাজার ১২৩ জন। দেশে গত ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।