Thank you for trying Sticky AMP!!

ব্যাক টু দ্য মিশন!

টম ক্রুজ—একটি নামেই যেন সবটা বলে দেওয়া যায়। দিন যত যাচ্ছে, ততই পরিশ্রমী হয়ে উঠছেন এই তারকা। কেড়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি হৃদয়ের ভালোবাসা। তবে এবার ‘মিশন ইম্পসিবল’ সিরিজের নতুন ছবিতে যেন নিজেকেও ছাড়িয়ে গেছেন এই সুদর্শন তারকা। হেলিকপ্টারে ঝুলে থাকা, মোটরসাইকেল নিয়ে প্রবল গতিতে এগিয়ে যাওয়া কিংবা এক দালান থেকে অন্য দালানে ছিটকে পড়া-নির্মাতাদের মতে, তাঁরা ভাবতে পারেননি যে টম এই বয়সে এভাবে এমন স্ট্যান্ট নিজেই করবেন। কিন্তু কী আর করা! ছবির হিরো যে টম ক্রুজ! আর ছবির নাম? মিশন: ইম্পসিবল-ফল আউট! দুটো ব্যাপারকে এক করলে বলাই যায় যে, এমনটা তো হওয়ারই ছিল।

ক্রিস্টোফার ম্যাককোয়্যারের পরিচালনায় এ বছর মুক্তি পেতে যাওয়া অ্যাকশন স্পাই ছবি মিশন: ইম্পসিবল-ফল আউট এই সিরিজের ষষ্ঠ কিস্তি। মিশন ইম্পসিবল সিরিজকে নিয়ে সব সময়ই ভক্তদের মধ্যে প্রচণ্ড উত্তেজনা কাজ করেছে। আর হ্যাঁ, নির্মাতা বা কলাকুশলী—কেউই হতাশ করেননি দর্শকদের। প্রতিবারের মতো এবারেও এই সিরিজে থাকছেন টম ক্রুজ, সাইমন পেগ, রেবেকা ফার্গুসন, ভিন রামেস, সীন হ্যারিস, অ্যালেক বাল্ডউইনসহ আরও অনেকে। তবে নতুন এই কিস্তিতে আরও থাকছেন হেনরি ক্যাভিল, এঞ্জেলা ব্যাসেট ও ভানেসা কিরবি। ফল আউটের মুক্তি অবশ্য মিশন ইম্পসিবল সিরিজের ভক্তদের জন্য নতুন খবর নয়। ২০১৫ সালে এই সিরিজের পূর্ববর্তী কিস্তি রোগ ন্যাশন মুক্তির আগে থেকেই এ ব্যাপারে কথা চলছিল। তবে অফিশিয়ালি মুভিটির ব্যাপারে ঘোষণা করা হয় ২০১৫ সালের নভেম্বরে।

মিশন ইম্পসিবলে নতুন এই কিস্তিতে নতুন অনেকগুলো দেশকে দেখা যাবে। নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, প্যারিস, নরওয়ে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত—ছবিটির শুটিং হয়েছে এই দেশগুলোতে। আইএমএফ মিশনের ভরাডুবি দিয়ে শুরু হয় ছবিটি। কেবল পৃথিবী নয়, ইথান হান্টও (টম ক্রুজ) বেশ সমস্যায় পড়ে যায়। সিআইএর সন্দেহ এসে পড়ে ইথান ও তার দলের ওপর। নিজেদের বাঁচাতে ভিন্ন পথ বাছতে হয় ইথানকে। হেনরি ক্যাভিল ছবিতে সিআইএর একজন সদস্য হিসেবে কাজ করেন। যার মূল লক্ষ্য থাকে ইথান ও তার দলকে মেরে ফেলা। একদিকে ইথানের ওপরে চড়াও হয় শত্রুপক্ষ ও সাবেক বন্ধুরা, অন্যদিকে পৃথিবীও একটু একটু করে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। এখন ইথান কী করবে? কীভাবে নিজেকে বাঁচাবে এবং একই সঙ্গে পৃথিবীকেও বাঁচাবে? এমন একটি গল্প নিয়েই গড়ে উঠেছে মিশন: ইম্পসিবল-ফল আউট। গতবারের মতো এবারেও লেখক হিসেবে কাজ করেছে পরিচালক ক্রিস্টোফার ম্যাককোয়্যার। এ ছাড়া প্রযোজনায়ও আংশিকভাবে আছেন তিনি।

২৭ জুলাই বিশ্বজুড়ে মুক্তি পেতে চলেছে ছবিটি। আশা করা হচ্ছে, প্রথম সপ্তাহেই ৪৮-৬৫ মিলিয়ন ডলার আয় করবে ছবিটি। ক্রিস্টোফার ম্যাককোয়্যার মিশন ইম্পসিবল সিরিজে নতুন কেউ নন। রোগ ন্যাশন-এও ভালো দেখিয়েছিলেন তিনি পরিচালক এবং লেখক হিসেবে। সেই অভিজ্ঞতা এবার কতটা কাজে আসে, সেটাই এখন দেখার বিষয়! একই দিন থেকে ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লকবাস্টার সিনেমাস ও বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে দেখা যাবে ছবিটি।

সাদিয়া ইসলাম

আইএমডিবি, মুভিস ইনসাইডার অবলম্বনে