চলে গেলেন ‘লাভ স্টোরি’ অভিনেতা রায়ান ও’নিল

২০০১ সাল থেকে লিউকেমিয়া ও ২০১২ সাল থেকে প্রোস্টেট ক্যানসারে ভুগছিলেন অভিনেতা
আইএমডিবি

১৯৭০ সালে মুক্তি পাওয়া রোমান্টিক সিনেমা ‘লাভ স্টোরি’–তে অভিনয় করে বিশ্বব্যাপী তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন অভিনেতা রায়ান ও’নিল। পেয়েছিলেন সেরা অভিনেতার অস্কার মনোনয়নও। জনপ্রিয় এই অভিনেতা নীরবে বিদায় নিলেন। গতকাল শুক্রবার রায়ান ও’নিলের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তাঁর ছেলে। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।

ভ্যারাইটি সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সাল থেকে লিউকেমিয়া ও ২০১২ সাল থেকে প্রোস্টেট ক্যানসারে ভুগছিলেন অভিনেতা। গতকাল অভিনেতার ছেলে প্যাট্রিক ও’নিল ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লেখেন, ‘আমার বাবা আজ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মানুষ হিসেবে আমার বাবা উদার ছিলেন। তিনি মানুষকে হাসাতে ভালোবাসতেন। আজ এ হলিউড কিংবদন্তি জীবনের দাঁড়ি টানলেন।’

টেলিভিশনে শুরু হয়েছিল ও’নিলের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার। সোপ অপেরা দিয়ে পরিচিতি পান। এরপর ‘লাভ স্টোরি’ কোটি কোটি মানুষকে কাঁদিয়েছে, যাকে সর্বকালের শীর্ষ ১০ রোমান্টিক সিনেমার একটি হিসেবে গণ্য করে আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট। সিনেমায় রায়ান ও’নিলের বিপরীতে ছিলেন আলি ম্যাকগ্র।

সর্বকালের শীর্ষ ১০ রোমান্টিক সিনেমার তালিকায় অনেকে ‘লাভ স্টোরি’ রাখেন

১৯৭৩ সালের ‘পেপার মুন’ ছবিতে অভিনেতার সঙ্গে ছিলেন ৯ বছর বয়সী মেয়ে টাটুম ও’নিল। যে কিনা জিতে নিয়েছিল পার্শ্বচরিত্রের অস্কার। ১৯৭০–এর দশকের তুমুল জনপ্রিয়তার পর দ্রুতই ক্যারিয়ার ধূসর হতে থাকে রায়ান ও’নিলের। ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েন নিয়েই খবরের শিরোনাম হতে থাকেন তিনি।
ও’নিল ১৯৪১ সালের ২০ এপ্রিল ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঔপন্যাসিক ও চিত্রনাট্যকার চার্লস ও’নিল ও অভিনেত্রী প্যাট্রিশিয়া রুথ ওলগার জ্যেষ্ঠ সন্তান। তাঁর ভাই কেভিন একজন অভিনেতা ও চিত্রনাট্যকার।

পেপারমুন সিনেমার দৃশ্য

ও’নিল লস অ্যাঞ্জেলেসের ইউনিভার্সিটি হাইস্কুলে পড়াশোনা করেন এবং সেখানে গোল্ডেন গ্লোবস মুষ্টিযোদ্ধা হওয়ার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ১৯৫০-এর দশকের শেষ ভাগে তাঁর পিতা সিটিজেন সোলজার টেলিভিশন ধারাবাহিকের লেখার কাজ পান এবং তাঁরা সপরিবার মিউনিখে চলে যান। সেখানে রায়ান মিউনিখ আমেরিকান হাইস্কুলে পড়াশোনা করেন।