
খেলা ছেড়ে একজন হয়েছেন কোচ, পরে ব্যবসায়ী। আরেকজন বিসিবির নির্বাচনের মনোনয়নপত্র কেনার দিনও ছিলেন নির্বাচক কমিটির সদস্য। পরশু দুজনের জীবনই বদলে গেছে। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ ও সাবেক বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রাজ্জাক এখন বিসিবির পরিচালক।
আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনকক্ষে প্রথম বোর্ড সভায় থাকার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে দুজনই বলেছেন, প্রথম সভায় তাঁরা অভিজ্ঞদের কথা শুনেছেন, চেষ্টা করেছেন কিছু শেখার। তবে দুজনই আশাবাদী, খেলার মাঠ থেকে যে ক্রিকেটটাকে তাঁরা দেখেছেন, বোর্ড পরিচালকের চেয়ারে বসে সেই ক্রিকেটের উন্নয়নকে কাজ করাটা কঠিন কিছু হবে না।
ক্যাটাগরি-৩ থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জিতে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন মাসুদ। এই ক্যাটাগরির ভোটার ছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা বোর্ড, সংস্থা, জাতীয় দলের সাবেক পাঁচ অধিনায়ক ও ১০ সাবেক ক্রিকেটার। বিসিবির গত নির্বাচনে হারার তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে এবার ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন তিনি, ভোট চেয়েছেন।
বিসিবির হাই পারফরম্যান্স বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পেয়ে মাসুদ বলেছেন, ‘প্রথম বোর্ড সভায় থাকাটা একটা ভিন্ন অভিজ্ঞতা। আজ আমি অভিজ্ঞ যাঁরা আছেন, তাঁদের কথা শুনেছি, কিছু শেখার চেষ্টা করেছি। তবে আমি মনে করি, এই চেয়ার শুধু একটা অলংকার হবে না। এটা একটা কাজের চেয়ার হবে।’
প্রথম সভার অভিজ্ঞতা ভালো হয়েছে জানিয়ে খালেদ মাসুদের কথা, ‘প্রথম দিন আমাদের ভালো একটা মিটিং হয়েছে। আশা করি, এ রকমই সুন্দর ও ইতিবাচক সভা হবে ভবিষ্যতেও। ইনশা আল্লাহ, আমরা সুন্দরভাবে ভালো ভালো কাজ করব।’ সঙ্গে দেশের ক্রিকেট নিয়ে একটা আফসোসের কথাও বললেন সাবেক এই অধিনায়ক, ‘আপনারা জানেন, আমি মাঠপর্যায়ে কাজ করে এসেছি। তবে আমি মনে করি, আমাদের ক্রিকেটটা যে পরিমাণ জনপ্রিয় করা যেত, সেই জায়গায় আমরা এখনো পৌঁছাইনি।’
মাসুদের মতো রাজ্জাকই এই প্রথম এলেন বিসিবির পরিচালনা পর্ষদে। তাঁকে দেওয়া হয়েছে মহিলা উইংয়ের দায়িত্ব। নতুন ভূমিকা নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘বোর্ড সভায় থাকাটা নতুন একটা অভিজ্ঞতা। তবে কাজটাকে ভিন্ন কিছু মনে হচ্ছে না। যদি ভালো কিছু করতে পারি, তাহলে ভিন্ন কিছু মনে হবে।’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘এত দিন মাঠ থেকে ক্রিকেটটাকে দেখেছি। এবার বোর্ড পরিচালকের আসনে বসে দেখব, কাজ করব। শুরুতে অন্যদের কথা শোনা, তাঁদের কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করব। তবে আমার মনে হয়, যেহেতু মাঠের অভিজ্ঞতা আছে, পরিচালক হিসেবে ক্রিকেটের জন্য কাজ করাটা তেমন কঠিন হবে না।’