লাহোরে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টের প্রথম দিনে খেলা হয়েছে ৫৪০ বল, মানে ৯০ ওভার। এর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা দাপট দেখিয়েছে মাত্র ১৬টি বলে। চা বিরতির আগে ও পরে ১৬ বলে কোনো রান খরচ না করে পাকিস্তানের ৩ উইকেট তুলে নেন দুই স্পিনার সেনুরান মুতুসামি ও সাইমন হারমার।
বাকি সময়টাতে দাপট দেখিয়েছে পাকিস্তানই। তবে দলীয় ১৯৯ রানেই পরপর ইমাম-উল-হক, সৌদ শাকিল ও বাবর আজমকে হারানোয় দিন শেষে পাকিস্তানের রানটা খুব বড় হয়নি। শান মাসুদের দল প্রথম দিন শেষ করেছে ৫ উইকেটে ৩১৩ রানে।
প্রথম দিন শেষে সালমান আগা ৫২ ও মোহাম্মদ রিজওয়ান ৬২ রানে অপরাজিত আছেন। দ্বিতীয় দিনে নিশ্চয়ই দুজনে চাইবেন পাকিস্তানের সংগ্রহটা ৫০০ রানের আশপাশে নিয়ে যেতে।
দক্ষিণ আফ্রিকার চাওয়াও হবে যত দ্রুত পাকিস্তানকে অলআউট করা। কারণ, লাহোর টেস্টের প্রথম দিনেই উইকেটে টার্ন দেখা গেছে। আর পাকিস্তান দলে আছেন ঘরের মাঠে ভয়ানক দুই স্পিনার নোমান আলী ও সাজিদ খান। বড় রান তোলা তাই এইডেন মার্করামের দলের জন্য কঠিন হতে পারে!
লাহোরে আজ পাকিস্তানের ব্যাটিং দাপট দেখা গেছে শুরু থেকেই। ইনিংসের প্রথম ওভারে কাগিসো রাবাদার বলে আবদুল্লাহ শফিক ফিরলেও তাঁর প্রভাব পড়েনি পাকিস্তানের ইনিংসে।
অনেকটা ওয়ানডে মেজাজেই ব্যাটিং করেছেন শান মাসুদ ও ইমাম। দুজনে মিলে প্রথম ১০ ওভারে তুলেছেন ৫১ রান। সর্বশেষ পাকিস্তান টেস্টে প্রথম ১০ ওভারে ৫০ রান তুলেছিল ২৫ বছর আগে। ২০০০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফয়সালাবাদে সেই ম্যাচে ওপেন করেছিলেন কিংবদন্তি সাঈদ আনোয়ার ও শহীদ আফ্রিদি।
সব মিলিয়ে দুজনে মিলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তোলেন ১৬১ রান। যে জুটিতে শুরু থেকেই দাপট দেখিয়েছেন ছন্দে থাকা ইমাম। বাঁহাতি এই ওপেনার টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি করেছেন ৬৫ বলে।
সেঞ্চুরি পাননি, ৯৩ রানে মুতুসামির বলে শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। সেঞ্চুরি না পেলেও ইমাম যে কতটা দারুণ ছন্দে আছেন, সেটিই প্রমাণ করেছেন। পাকিস্তানের এই ওপেনার লাহোর টেস্টের আগে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট ওয়ানডে কাপে সর্বশেষ ৮ ম্যাচে চারটি সেঞ্চুরি ও তিনটি ফিফটি করেছিলেন।
ইমামের আগেই অবশ্য ফেরেন শান মাসুদ। পাকিস্তান অধিনায়ক করেছেন ৭৬ রান। দলীয় ১৬৩ রানে ডানহাতি স্পিনার প্রেনেলান সুব্রায়েনের বলে এলবিডব্লু হয়েছেন শান মাসুদ। টেস্টে এটি তাঁর ১২তম ফিফটি।
চা বিরতির আগের ওভারে ইমাম ফেরার পর উইকেটে আসা শাকিল আউট হন প্রথম বলেই। চার বিরতি থেকে ফিরে হারমারের বলে এলবিডব্লু হন বাবর। বাবর করেন ২৩ রান।
দলীয় ১৯৯ রানে দাঁড়িয়েই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে থাকা পাকিস্তানকে টেনে তোলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সালমান আগা। দুজনেই বেছে নেন পাল্টা আক্রমণের পথ। বাবর ফেরার পরের ওভারেই স্পিনার মুতুসামির বলে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে ছক্কা মারেন রিজওয়ান।
পরের ওভারেই হারমারের বলে মারেন দুই চার। দুজনে গড়েছেন অবিচ্ছিন্ন ১১৪ রানের জুটি। তাতে প্রথম দিনটা শেষ হয়ে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে থেকেই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ৯০ ওভারে ৩১৩/৫ ( ইমাম ৯৩, শান মাসুদ ৭৬, রিজওয়ান ৬২*; মুতুসামি ২/১০১, হারমার ১/৭৫)
প্রথম দিন শেষে