হাবিবুলের সঙ্গে সৌম্যর এ ছবিটি পুরোনো। সৌম্য যখন জাতীয় দলে ছিলেন
হাবিবুলের সঙ্গে সৌম্যর এ ছবিটি পুরোনো। সৌম্য যখন জাতীয় দলে ছিলেন

সৌম্যকে বোঝানোর কিছু দেখেন না হাবিবুল

অনেক দিন ধরেই রানের মধ্যে নেই সৌম্য সরকার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বশেষ ফিফটি ২০২১ সালের জুলাইয়ে। ২০২১-এই শেষ খেলেছেন টেস্ট দলে। ২০২১ সালের পর ওয়ানডে দলে সুযোগ পাননি, এই সংস্করণে সর্বশেষ ফিফটি ২০১৯ সালে।

কী দারুণ সম্ভাবনা নিয়েই না ক্যারিয়ারটা শুরু করেছিলেন সৌম্য! ২০১৫ বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স রাতারাতি এনে দিয়েছিল তারকাখ্যাতি। এরপর ঘরের মাঠে পাকিস্তান, ভারত আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স জাতীয় দলে জায়গা পাকা করে দেয় তাঁকে।

কিন্তু সেই সৌম্য যেন হারিয়েই গেছেন! মাঝেমধ্যে তাঁর ব্যাট ঝলসে উঠলেও পারফরম্যান্স অনেক দিন ধরেই ধারাবাহিক নয়। জাতীয় দলেও তাই এখন তিনি ব্রাত্য। গত অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে তাঁকে ফেরানো হলেও সৌম্য দাগ কাটার মতো কিছুই করতে পারেননি।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এবার মোহামেডানের হয়ে খেলছেন সৌম্য। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটেও নেই পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা। অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে ৫৬ ও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে করা ৪১ রানের বাইরে বলার মতো রান নেই।

বহুদিন ধরেই জাতীয় দলের বাইরে সৌম্য সরকার

ফতুল্লা স্টেডিয়ামে আজ মোহামেডান-ব্রাদার্সের ম্যাচ দেখতে গিয়ে সৌম্যের পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশাই প্রকাশ করলেন জাতীয় দলের নির্বাচক ও সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার। তবে জানিয়েছেন, পারফরম্যান্সে অধারাবাহিক হলেও সৌম্য এখনো তাঁদের রাডারের বাইরে চলে যাননি, ‘সৌম্যর কাছে যে প্রত্যাশা, তার কাছ থেকে সে অনুযায়ী পারফরম্যান্স পাচ্ছি না। কিছুদিন আগেও সে জাতীয় দলে ছিল। বাংলাদেশের হয়ে তাঁর অনেক ভালো পারফরম্যান্স আছে। ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্সও আছে। ওর সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন নেই। সে এখনো আমাদের চিন্তা-ভাবনার মধ্যেই আছে।’

সৌম্যকে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে ফেরাতে তাঁকে সব রকম সমর্থনই দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাবিবুল, ‘যে মানসিক সমর্থন দরকার, সেটি সব সময়ই তাঁকে দেওয়া হয়। মাঝেমধ্যে ক্রিকেটারদের নিজেদেরই নিজেদের বাঁচাতে হয়। সে অনেক দিন ধরে খেলছে, নতুন ক্রিকেটার তো নয়। যথেষ্ট অভিজ্ঞ। তাই কীভাবে সে ভালো খেলবে, সেটির উপায় তাঁকেই খুঁজে বের করতে হবে।’

ফর্মে ফেরার পথটা সৌম্যকেই বের করতে হবে

তবে পরামর্শ তো দেওয়া যায়ই। সেটা দিতে গিয়েই হাবিবুল বলেছেন, ‘সব ব্যাটসম্যানেরই একটা ব্যাটিং পরিকল্পনা থাকে। সেটা হতে পারে সে কোন বোলারকে মারবে, কোন বোলারকে মারবে না, মাঠের কোন দিক ছোট, কোন দিকে বাতাস আছে এমন কিছু। সৌম্যকেও নিজের ব্যাটিং পরিকল্পনা ঠিক করতে হবে, চিন্তা করতে হবে কীভাবে সে ব্যাটিং করতে চায়। নিজের ব্যাটিং বোঝাটা গুরুত্বপূর্ণ। ওকে বোঝানোর কিছু নেই বলেই আমি মনে করি।’