
বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার রজতজয়ন্তী উদ্যাপনে দেশজুড়ে নানা আয়োজন করছে বিসিবি। অনূর্ধ্ব–১২ পর্যায়ের সিক্স–এ–সাইড টুর্নামেন্টের সঙ্গে হচ্ছে পেসার ও স্পিনার হান্ট, থাকছে কমেন্ট্রি বুথ ও গুডলাক উইশ বোর্ড।
এসব আয়োজনের সঙ্গে বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে একসঙ্গে হবেন বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলা ক্রিকেটাররা। তাঁদের দেওয়া হবে বিশেষ ব্লেজার ও সম্মাননা।
কিন্তু এসব আয়োজন থেকে দূরে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাঈমুর রহমান। খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ার শেষে বিসিবির পরিচালক ছিলেন, হয়েছিলেন সংসদ সদস্যও। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আড়ালে চলে গিয়েছেন। বিসিবি পরিচালক পদেও এখন আর নেই তিনি।
নাঈমুর রহমানকে বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার ২৫ বছর পূর্তির আয়োজনে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না, তা নিয়ে একটা সংশয় ছিল। তবে আজ ধানমন্ডির রিয়া গোপ মহিলা কমপ্লেক্সে ঢাকা বিভাগের রজতজয়ন্তী উদ্যাপনে গিয়ে নাঈমুরকে দাওয়াত দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম, ‘দাওয়াতও দিয়েছে, কলও করা হয়েছে।’
যদিও দাওয়াত পেয়েছেন কি না বা পেলেও আসবেন কি না, তা জানতে চেয়ে নাঈমুরকে মুঠোফোনে চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট খেলা দলের সদস্য ছিলেন এখনকার বিসিবি সভাপতি আমিনুলও, দেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ানও তিনি। গত মাসে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর রজতজয়ন্তী উদ্যাপনের উদ্যোগ নেন আমিনুল।
প্রথম টেস্ট খেলা দলের সদস্য হওয়ায় নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন আমিনুল, ‘আমাদের আগের ক্রিকেটাররা যাঁরা ছিলেন, ফারুক (আহমদ) ভাই ছিলেন, আতাহার আলী ভাই ছিলেন, (মিনহাজুল আবেদীন) নান্নু ভাই ছিলেন—অনেক ক্রিকেটার ছিলেন, যাঁরা টেস্ট খেলার সুযোগ পাননি। আমরা ওই সময়টায় নিজেদের ভাগ্যবান মনে করতাম যে প্রথম টেস্টে আমরা খেলতে পেরেছিলাম।’
আগামীকাল মিরপুরের আয়োজন নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘যেহেতু আমরা ভাগ্যবান ছিলাম, প্রথম টেস্টটা খেলেছিলাম। সেই স্কোয়াডে যাঁরা অ্যাভেইলেবল, সবাইকে কাল আমাদের ক্রিকেট বোর্ডে দাওয়াত দিয়েছি। মূলত আমাদের আগের সেই ২৫ বছর আগের স্মৃতিতে ফিরে যাওয়া, আমাদের সেই ক্রিকেটের বন্ধুত্ব, যেন অটুট থাকে এবং তাঁদের সম্মাননা জানানো।’
দেশজুড়ে নানা আয়োজনে রজতজয়ন্তী উদ্যাপনের দুটি কারণও ব্যাখ্যা করেছেন আমিনুল, ‘প্রোগ্রামটা আমরা দুইটা কারণে করেছি—একটা হচ্ছে টেস্ট ক্রিকেটের ২৫ বছর উদ্যাপন। আরেকটা হচ্ছে দেশব্যাপী বহু জায়গায় ক্রিকেট ঘুমিয়ে ছিল, তাদের একটা ওয়াকআপ কল দেওয়া। এটা আমরা অত্যন্ত সফলভাবে করতে পেরেছি।’