Thank you for trying Sticky AMP!!

৪১ বছর বয়সে মারা গেছেন পানামার হয়ে বিশ্বকাপ খেলা ফুটবলার লুইস তেহাদা

মাঠে হার্ট অ্যাটাক, মারা গেলেন পানামার সর্বোচ্চ গোলদাতা

বিশ্বকাপ খেলা পানামার সাবেক ফরোয়ার্ড লুইস তেহাদা গতকাল মারা গেছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, পানামা সিটির সান্তা লিব্রাদা অঞ্চলে শখের ফুটবল লিগে খেলার সময় মাঠেই হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন তিনি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মাঠ থেকে হাসপাতালে নেওয়ার পর তেহাদাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ৪১ বছর বয়সী এ ফুটবলারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে পানামা ফুটবল ফেডারেশন (ফেপাফুট)।

পানামা ফুটবল একবারই বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলেছে। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত সে বিশ্বকাপে পানামার মূল পর্বে ওঠায় বড় ভূমিকা ছিল তেহাদার। পানামার হয়ে ১০৮ ম্যাচ খেলা তেহাদা দেশের জাতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতাও (৪৩)। ২০০১ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত খেলেছেন পানামার জার্সিতে। ‘ম্যাটাডোর’ নামে খ্যাত এ ফুটবলার ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে ২ ম্যাচ খেলেছেন। ২০১৬ কোপা আমেরিকা শতবর্ষপূর্তি আসরে খেলার পাশাপাশি ২০০৫ গোল্ডকাপে পানামাকে ফাইনালে তোলার পথে যৌথভাবে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতাও হয়েছিলেন তেহাদা।

২০১৮ বিশ্বকাপে পানামা–তিউনিসিয়া ম্যাচে লুইস তেহাদা (বাঁয়ে)

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ তেহাদার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে পানামা ফুটবল ফেডারেশন লিখেছে, ‘আমাদের দেশে তিনি ফুটবল এবং ফুটবল উন্নয়নের সঙ্গে সমার্থক। আমরা যথাযথ শোক জানাচ্ছি। ম্যাটাডোর, আমরা আপনাকে কখনো ভুলব না।’

Also Read: সব চেষ্টা ব্যর্থ, ৬০ বছর পর পাকিস্তানে খেলতে যেতে বাধ্য হলো ভারতের টেনিস দল

ফুটবল মাঠে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়ে মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয়। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মাঠে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হওয়ার পর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করেন ওমানের ফুটবলার মুখালেদ আল-রাকাদি। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে দুবাইয়ে মাঠে খেলার সময় ৩৫ বছর বয়সী ব্রিটিশ ফুটবলার আলফি নান হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়ে মারা যান। ২০২১ সালের জুনে ঘটেছিল আরেকটি মর্মান্তিক ঘটনা। ভাইয়ের স্মরণে খেলতে নেমে মাঠেই হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন ইতালিয়ান ক্লাব ফুটবলের খেলোয়াড় জিউসেপ্পে পেরিনো। মাঠে চিকিৎসক দল ছুটে গেলেও কাজ হয়নি। পরে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

২০১৬ সালে রোমানিয়ার লিগে মাঠে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন ক্যামেরুনের ফুটবলার প্যাটট্রিক একেং। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁকে বাঁচানো যায়নি। ২০০৩ কনফেডারেশনস কাপে ক্যামেরুনের হয়ে খেলার সময় হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান মার্ক ভিভিয়ান ফো।

Also Read: ম্যান সিটিতে নাম লেখানো ‘নতুন মেসি’র যত স্বপ্ন