ডি স্টেফানো পুরস্কার নিচ্ছেন ইয়ামাল
ডি স্টেফানো পুরস্কার নিচ্ছেন ইয়ামাল

লিগ, চ্যাম্পিয়নস লিগ, বিশ্বকাপ, ব্যালন ডি’অর—সব জিততে চান ইয়ামাল

কিলিয়ান এমবাপ্পে, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রাফিনিয়া ও পেদ্রিদের পেছনে ফেলে গত মৌসুমে লা লিগার সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ‘ডি স্টেফানো’ পুরস্কার জিতেছেন লামিনে ইয়ামাল। মার্কার পরিচালকের হাত থেকে বর্ষসেরার এই পুরস্কার নেন তিনি।

মাত্র ১৮ বছর বয়সে একের পর এক অর্জনের ট্রফি জমা হচ্ছে ইয়ামালের ঝুলিতে। সেই তালিকায় এবার যোগ হলো ‘ডি স্টেফানো’ ট্রফি। তবে ইয়ামাল এটুকুতেই সন্তুষ্ট থাকতে চান না; জিততে চান সম্ভাব্য সব কিছুই।

পুরস্কার জেতার পর মার্কাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইয়ামাল বলেছেন, ‘ব্যক্তিগত সব পুরস্কারই বুঝিয়ে দেয় মৌসুমটা সত্যিই দুর্দান্ত ছিল। আমার জন্য এগুলো আনন্দ আর গর্বের বিষয়। এত কম বয়সে এত অর্জন খুবই ইতিবাচক ব্যাপার। এ রকম সাফল্য পেতে আমি কাজ করে যেতে চাই, লড়ে যেতে চাই।’

ইয়ামালকে যেসব বিষয় অন্যদের থেকে আলাদা করেছে, উচ্চাকাঙ্ক্ষা তার অন্যতম। জেতার ক্ষুধা তাঁকে দিন শেষে সাফল্য এনে দেয়। যেমন কয়েক দিন আগে ব্যালন ডি’অর নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে ইয়ামাল বলেছিলেন, তিনি একটি নয়, একাধিক ব্যালন ডি’অর জিততে চান। গতকাল রাতে পুরস্কারটি জয়ের পর মার্কার সঙ্গে কথোপকথনেও ফুটে উঠল সেই মানসিকতা।

লা লিগা ট্রফি হাতে ইয়ামাল

এবার ইয়ামালকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল ২০২৬ সালের চ্যালেঞ্জ নিয়ে। যেখানে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে অনেক ট্রফি জেতার সুযোগ আছে তাঁর। ইয়ামালকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয় যে তিনি লা লিগা, চ্যাম্পিয়নস লিগ, বিশ্বকাপ ও ব্যালন ডি’অরের মধ্যে কোনটি জিততে চান। তখন তাঁর অকপট উত্তর ছিল এমন, ‘আমি সবই চাই। আশা করি সবই অর্জন করতে পারব। যতক্ষণ খেলার সুযোগ আছে, ততক্ষণ সবকিছুই সম্ভব।’

এ সময় ক্যাম্প ন্যুতে বার্সার ফেরা নিয়েও কথা বলেছেন ইয়ামাল। এই স্টেডিয়ামের গুরুত্ব সম্পর্কে ইয়ামাল বলেছেন, ‘সমর্থকদের গুরুত্ব বিশাল। আমরা যে স্টেডিয়ামে খেলছিলাম, সেটা আসলে আমাদের নিজস্ব ছিল না। মন্তজুইক ঠিকঠাকই ছিল, কিন্তু সেটা আমরা যেমন চাই, তেমন নয়। ক্যাম্প ন্যুর ফিরে আসা মৌসুমের বাকি সময় আমাদের জন্য বড় ধরনের প্রেরণা জোগাবে।’