পেপ গার্দিওলা ও ক্রিস্তিনা সেরা
পেপ গার্দিওলা ও ক্রিস্তিনা সেরা

কাতালুনিয়ায় গিয়ে সময় দেবেন—এই শর্তে জোড়া লাগছে গার্দিওলার সংসার

কোনো স্থাপনা ভেঙে গেলে সিমেন্ট–বালু দিয়ে তা আবার জোড়া লাগানো যায়। কিন্তু মন ভাঙলে?

ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্দিওলার সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ক্রিস্তিনা সেরার বিচ্ছেদের খবর সামনে এসেছিল জানুয়ারিতে। শোনা গিয়েছিল, গার্দিওলা কর্তৃক স্ত্রীকে যথেষ্ট সময় না দেওয়া বিচ্ছেদের প্রধানতম কারণ। এবার স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এন ব্লাউ ভিআইপি বলছে, গার্দিওলা আবার সম্পর্কটা জোড়া লাগানোর চেষ্টা করছেন।

জানুয়ারিতে স্পেনের সংবাদমাধ্যম ‘এল পেরিওদিকো’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, গত নভেম্বরে সিটির সঙ্গে গার্দিওলার চুক্তি নবায়ন করাটা ভালোভাবে নেননি ক্রিস্তিনা, যা বিচ্ছেদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে। তবে সম্পর্ক ভাঙলেও গার্দিওলা ও ক্রিস্তিনার কেউই আঙুল থেকে বিয়ের আংটি এখনো খোলেননি বলে খবর এন ব্লাউ ভিআইপির।

পেপ গার্দিওলা ও ক্রিস্তিনা

ক্রিস্তিনার সঙ্গে ১৯৯৪ সাল থেকে একসঙ্গে থাকা শুরু করেন গার্দিওলা। দুজনে বিয়ে করেন ২০১৪ সালে বার্সেলোনায়। তখন জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের কোচ ছিলেন গার্দিওলা। ২০১৬ সালে বায়ার্ন ছেড়ে তিন বছরের চুক্তিতে ম্যানচেস্টার সিটির দায়িত্ব নেন গার্দিওলা। এরপর কয়েক দফায় চুক্তি নবায়ন করেছেন তিনি। যার সর্বশেষটি ২০২৪ সালের নভেম্বরে, যা ক্রিস্তিনা নাকি জানতেনও না। স্পেনের বার্সেলোনা শহরে বসবাস করা ক্রিস্তিনার চাওয়া ছিল, গার্দিওলা হয় এক বছরের জন্য ছুটি কাটাবেন বা কোনো জাতীয় দলের দায়িত্ব নেবেন। যাতে করে তাঁকে আরও বেশি সময় দিতে পারেন।

কিন্তু গার্দিওলা এর কোনোটিই করেননি, যার জেরে ঘটনা গড়ায় বিবাহবিচ্ছেদ পর্যন্ত। এন ব্লাউ ভিআইপি জানাচ্ছে, সম্প্রতি গার্দিওলা ক্রিস্তিনাকে কথা দিয়েছেন, তিনি আরও বেশি সময় তাঁকে দেবেন।

দুজন থাকেন দুই দেশে। তাহলে ক্রিস্তিনাকে আরও বেশি সময় গার্দিওলা দেবেন কীভাবে? এর একটি সমাধান বের করেছেন গার্দিওলা নিজেই। প্রতি সপ্তাহে এক দিন ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে করে ইংল্যান্ড থেকে স্পেনের বার্সেলোনায় স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটাতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

এরই অংশ হিসেবে হয়তো একটি ‘ট্রায়াল’ও দিয়েছেন গার্দিওলা। এন ব্লাউ ভিআইপি দাবি করেছে, ইস্টার সানডের ছুটিতে বার্সেলোনায় ক্রিস্তিনার বাড়িতে গিয়েছিলেন গার্দিওলা। সেখানে তিনি তিন দিন থেকেছেন। ক্রিস্তিনাও নাকি গার্দিওলাকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য রাজি আছেন। তবে এসব নিয়ে গার্দিওলা বা ক্রিস্তিনার দিক থেকে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য আসেনি। যেমনটা আসেনি বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে গণমাধ্যমের আলোড়ন তোলা খবরের সময়ও।