খারাপ আবহাওয়া, অংশগ্রহণকারী দলগুলোর বিপুল আয়, দর্শক উপস্থিতির তারতম্যসহ নানা ঘটনার মধ্যে ক্লাব বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে মাঠের খেলা নিয়ে আলাপ হয়েছে সামান্যই। মাঠের খেলা নিয়ে আলোচনা বলতে বোতাফোগোর কাছে পিএসজি ও ফ্ল্যামেঙ্গোর কাছে চেলসির হার, আর্জেন্টাইন ক্লাবগুলোর ভরাডুবি এবং ম্যানচেস্টারের ঘুরে দাঁড়ানো নিয়েই আলোচনা ছিল বেশি। গ্রুপ পর্বে ক্লাব বিশ্বকাপের উল্লেখযোগ্য বিষয় নিয়েই এই আয়োজন।
টিকে থাকা
গ্রুপ পর্ব শেষে ১০টি দেশের ১৬টি দল এখনো টিকে আছে ক্লাব বিশ্বকাপে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দল ব্রাজিলের। ব্রাজিল থেকে আসা ৪টি দলের সব কটিই গ্রুপ পর্বের বাধা টপকে গেছে। ইউরোপীয়ানদের মধ্যে জামার্নি, ইতালি ও ইংল্যান্ড থেকে আসা দুটি দলের প্রতিটিই দল জায়গা ধরে রেখেছে। স্পেন অবশ্য দুই দলের একটিকে হারিয়েছে। বিদায় নিয়েছে আতলেতিকো মাদ্রিদ।
গোল
গ্রুপ পর্বে সব মিলিয়ে ৪৮ ম্যাচে গোল হয়েছে ১৪৪টি। অর্থাৎ ম্যাচপ্রতি গোল হয়েছে ৩টি করে। এর বাইরে প্রতিযোগিতায় অনেকগুলো দলের মধ্যে মানের পার্থক্য ছিল স্পষ্ট। এমনকি একটি দলের দুই ম্যাচে ১৬ গোল খাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
প্রতিনিধি
এ প্রতিযোগিতার শুরুতে যে ১২টি ইউরোপীয় দল ছিল, তার মধ্যে ৯টি শেষ ষোলোয় উঠেছে। অর্থাৎ ইউরোপের প্রায় ৮০ শতাংশ দল এখনো টিকে আছে। বাকি দলগুলোর মধ্যে আছে চারটি ব্রাজিলিয়ান দল। এগুলো সব কটিই এখনো জায়গা ধরে রেখেছে। অর্থাৎ ব্রাজিল থেকে প্রতিনিধিত্ব করা শতভাগ দল এখনো প্রতিযোগিতায় আছে। আর অন্যদের মধ্যে মেক্সিকো, সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের দুটি করে দলের মধ্যে একটি করে দল (৫০%) প্রতিযোগিতায় টিকে আছে। এ ছাড়া আফ্রিকা ও ওশেনিয়ার কোনো দল শেষ ষোলোয় যেতে পারেনি।
১০০–তে ১০০
গ্রুপ পর্বে একমাত্র দল হিসেবে সব কটি ম্যাচ জিতেছে শুধু ম্যানচেস্টার সিটি। সম্ভাব্য ৯ পয়েন্টের ৯ পয়েন্টই পেয়েছে তারা। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী দলগুলোর প্রত্যেকে অন্তত একটি গোল হলেও করেছে।
দর্শক
এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে মোট ১ কোটি ৬৬ লাখ ৮৮ হাজার ৪১৯ জন দর্শক খেলা দেখতে এসেছেন। অর্থাৎ গড়ে প্রতি ম্যাচে দর্শক উপস্থিতি ছিল ৩৪ হাজার ৭৫৯ জন করে। সবচেয়ে বেশি দর্শক উপস্থিত ছিলেন পিএসজি বনাম আতলেতিকো মাদ্রিদের ম্যাচে। সেদিন সর্বোচ্চ ৮০ হাজার ৬১৯ জন দর্শক মাঠে উপস্থিত ছিলেন, যা এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে (এমনকি আগের সাত দলের ফরম্যাটেও) একটি রেকর্ড। অন্যদিকে উলসান বনাম মামেলদি ম্যাচে সবচেয়ে কম দর্শক, ৩ হাজার ৪১২ জন, উপস্থিত ছিলেন।
শীর্ষ গোলদাতা
এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলে ৫ খেলোয়াড় একসঙ্গে শীর্ষে অবস্থান করছেন। তাঁরা হলেন আবু আলী, দি মারিয়া, জামাল মুসিয়ালা, কেনান ইয়ুলদিজ ও মাইকেল ওলিসে। তাঁদের প্রত্যেকে ৩টি করে গোল করেছেন। অন্য দের মধ্যে ২০ জন খেলোয়াড় ২টি করে গোল করেছেন। এ ছাড়া আত্মঘাতী গোলও হয়েছে ৬টি।
ম্যান সিটি
পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি এখন পর্যন্ত ক্লাব বিশ্বকাপ থেকে সর্বাধিক অর্থ আয় করা ক্লাব। তারা মোট ৪ কোটি ৬৩ লাখ ইউরো আয় করেছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৬৩ কোটি টাকার বেশি। সিটির চেয়ে আয়ে ৩০ লাখ ইউরো পিছিয়ে দুইয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। আল হিলালের সঙ্গে ড্র করার কারণে এই অর্থ হাতছাড়া করেছে তারা।