অলিভার কানের জীবনে সবচেয়ে বাজে দিন ছিল কাল
শেষ রাউন্ডে গতকাল কোলনকে ২–১ গোলে হারিয়ে বুন্দেসলিগায় টানা ১১তম শিরোপা জিতেছে বায়ার্ন মিউনিখ। কিন্তু দিনটি ক্লাবটির কিংবদন্তি গোলকিপার অলিভার কানের জন্য ছিল খুবই হতাশার। বায়ার্ন শিরোপা জয়ের খানিক পরই যে তাঁকে প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে বরখাস্তের ঘোষণা দেয় ক্লাবটি। একই দিনে বায়ার্ন বরখাস্ত করেছে ক্রীড়া পরিচালক হাসান সালিহামিদিচকেও।
ক্রীড়া পরিচালক সালিহামিদিচ কাল কোলনের বিপক্ষে খেলার সময় গ্যালারিতেই ছিলেন। প্রথমার্ধ শেষে বায়ার্ন যখন শিরোপা জয়ের পথে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের চেয়ে এগিয়ে ছিল, সেই সময়ও অবশ্য তাঁকে একটু বিমর্ষ লাগছিল। বোঝাই যাচ্ছিল, বরখাস্ত হওয়ার খবরটি তিনি আগেই পেয়েছিলেন।
জার্মানি ও বায়ার্নের সাবেক অধিনায়ক কানকে অবশ্য ম্যাচের সময় মাঠের কোথাও দেখাই যায়নি। দেখা যাবে কী করে, বায়ার্ন কর্তৃপক্ষ যে এদিন তাঁকে মাঠে আসতে ‘না’ করে দিয়েছিল! বরখাস্ত হওয়ার পর কান তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন এ কথা।
বরখাস্ত হওয়া নিয়ে কানের যতটা না আক্ষেপ, এর চেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছেন দলের সঙ্গে মাঠে থেকে শিরোপা উদ্যাপন করতে না পারায়। স্কাই স্পোর্টসকে তিনি বলেছেন, ‘ছেলেদের সঙ্গে পার্টিতে না থাকতে পারাটা আমার জীবনের সবচেয়ে বাজে দিন।’
Also Read: কেইনকে পাওয়ার দৌড়ে এবার বায়ার্ন মিউনিখ
কোলনের বিপক্ষে ম্যাচ জিতে বায়ার্ন দল যখন শিরোপা উদ্যাপন করছিল, মিক্সড জোনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ক্লাবের সভাপতি হার্বার্ট হেইনার। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘আমরা ক্লাবের তদারকি বোর্ড নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সেটা আপনারা হয়তো এরই মধ্যে শুনেছেন।’
বরখাস্ত শব্দটি উচ্চারণ না করেও এভাবেই সংবাদমাধ্যমকে কান ও সালিহামিদিচকে বিদায় করার খবরটি দিয়েছেন হেইনার। বায়ার্ন মূলত চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে ছিটকে পড়ার পরই কান ও সালিহামিদিচকে বিদায় করার সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিল। এ কারণেই লিগ জিতলেও শেষ রক্ষা হয়নি তাঁদের দুজনের। কান ও সালিহামিদেচর জায়গায় বায়ার্নের তদারকি বোর্ডে কারা আসবেন, সেটা অবশ্য এখনো জানায়নি মিউনিখের ক্লাবটি।