শুক্রবার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ভেনেজুয়েলাকে ৩-০ গোলে হারানোর পথে আর্জেন্টিনার হয়ে একটি গোল করেছিলেন লাওতারো মার্তিনেজ। সেই গোলের সুবাদে এক রেকর্ডে ডিয়েগো ম্যারাডোনা ও গঞ্জালো হিগুয়েইনকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি।
আর্জেন্টিনার ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় মার্তিনেজ এখন উঠে এসেছেন পঞ্চম স্থানে। আর্জেন্টিনার হয়ে মার্তিনেজের গোল এখন ৭১ ম্যাচে ৩৩। অন্যদিকে ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনার হয়ে করেছেন ৮৪ ম্যাচে ৩২ গোল এবং হিগুয়েইনের গোল ৭৫ ম্যাচে ৩১।
শুধু জাতীয় দল নয়, ইন্টার মিলানেও দারুণ সময় কাটাচ্ছেন মার্তিনেজ। জাতীয় দলে যোগ দেওয়ার আগে ইন্টারের হয়ে শেষ লিগ ম্যাচেও গোল ও অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। আত্মবিশ্বাসে টগবগ করতে থাকা মার্তিনেজ নিজের বর্তমান ছন্দ ও সামগ্রিক অবস্থান নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন ‘ফ্রান্স ফুটবল’-এর সঙ্গে। যেখানে তিনি নিজেকে বিশ্বের সেরা ৫ ফরোয়ার্ডের একজন বলে দাবি করেছেন।
সেরা ফরোয়ার্ডদের তালিকায় নিজের অবস্থান কোথায় এমন প্রশ্নের জবাবে মার্তিনেজের অকপট উত্তর, ‘শীর্ষ পাঁচের মধ্যে আমি আছি। আমি কারও নাম বলতে চাই না। সবাই নিজেদের মতো করে খেলোয়াড়দের মূল্যায়ন করে। তবে সাম্প্রতিক কয়েক বছরে আমি যা করেছি, তা আমাকে শীর্ষ পাঁচে থাকার জায়গা করে দিয়েছে।’
এ সময় ফুটবল অঙ্গনে ‘অবমূল্যায়িত’ হওয়ার আক্ষেপও শোনা গেছে মার্তিনেজের কণ্ঠে। মাঠের সাফল্যের স্বীকৃতি পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা যে তাঁর রয়েছে, সেটিও স্বীকার করে মার্তিনেজ বলেছেন, ‘হ্যাঁ, কখনো কখনো তাই (অবমূল্যায়িত) মনে হয়। হয়তো ইমেজ বা মার্কেটিংয়ের কারণে আমি প্রাপ্য জায়গায় পৌঁছাতে পারিনি। তবে আমি সব সময় সতীর্থদের জন্য, দলের জার্সির জন্য শতভাগ উজাড় করে দিই। সেটাই আসল ব্যাপার।’
স্বীকৃতি না পেলেও নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে তৃপ্ত মার্তিনেজ আরও যোগ করেন, ‘২৮ বছর বয়সী একজন ফুটবলার হিসেবে আমি আমার ক্যারিয়ার নিয়ে খুশি। আমার অবশ্য আরও স্বীকৃতি চাই। তবে সবচেয়ে বড় স্বপ্ন হলো একজন নম্র, ভদ্র ও ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত হওয়া।’
এ সময় ব্যালন ডি’অর পুরস্কার নিয়েও কথা বলেছেন মার্তিনেজ। ১৯ সেপ্টেম্বর ঘোষণা হতে যাওয়া সেই পুরস্কার অনুষ্ঠান নিয়ে মার্তিনেজ বলেছেন, ‘কোন অবস্থান দাবি করতে পারব, জানি না। তবে আমি দারুণ ছন্দে আছি। আমরা যদিও কোনো শিরোপা জিতিনি, তবে আমার মৌসুমটা দুর্দান্ত ছিল। আমি ভালো অবস্থানে থাকার যোগ্য।’