খুব সহজেই স্মার্টফোনের কিবোর্ডে দ্রুত টাইপ করা যাবে। যদিও স্মার্টফোন, ট্যাব কিংবা স্মার্টওয়াচের ডিসপ্লের আকার খুব ছোট আর এর কাচের ওপর টাইপ করা যন্ত্রণাদায়ক তারপরও কিছু অ্যাপ্লিকেশন ও টুল আছে যার সাহায্যে স্মার্টফোনে টাইপ করার কাজটি অনেক সহজ হয়ে যায়। সম্প্রতি সিএনএন এক প্রতিবেদনে স্মার্টফোনে টাইপ করার পাঁচটি উন্নত পদ্ধতির কথা জানিয়েছে।

হাতের লেখা
হাতের লেখা আধুনিক প্রযুক্তির টাইপিং হিসেবে চলে এসেছে। এই সুবিধা এনেছে গুগল। সম্প্রতি গুগল নতুন একটি অ্যাপ উন্মুক্ত করেছে যাতে হাতের লেখা টাইপিং হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এটি অ্যান্ড্রয়েড কিবোর্ডের বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। এই কিবোর্ডের ওপর হাতে অক্ষর লিখলে বা ইমোটিকন এঁকে দিলে তা টাইপ হয়ে যাবে। গুগলের এই সফটওয়্যারটি নিখুঁতভাবে হাতের লেখা শনাক্ত করতে পারে। সাধারণ টাইপিংয়ের চেয়ে যদিও হাতের লেখার মাধ্যমে বার্তা লেখা কিছুটা ধীরগতির হয় কিন্তু এতে বানান ঠিক থাকে।
কণ্ঠস্বর ব্যবহার
দ্রুতগতিতে ও সহজ উপায়ে টেক্সট লেখার উপায় হচ্ছে কণ্ঠস্বরের ব্যবহার। অধিকাংশ স্মার্টফোন, ট্যাব ও স্মার্টওয়াচে কণ্ঠস্বর শনাক্তকরণ সফটওয়্যার থাকে। অ্যাপল, গুগল ও মাইক্রোসফটের পণ্যে থাকা এই সফটওয়্যার নিখুঁতভাবে কাজ করতে পারে। কিন্তু কণ্ঠস্বর ব্যবহার করে বার্তা লেখার একটি বড় অসুবিধা হচ্ছে তা জনসম্মুখে বা শোরগোলের মধ্যে করা যায় না।
প্রেডিকটিভ টেক্সট
টাইপ করার সময় কয়েকটি অক্ষর টাইপ করলেই আপনার স্মার্টফোন অনুমান করতে পারে যে আপনি কোন শব্দটি টাইপ করতে যাচ্ছেন। সে অনুযায়ী আপনাকে কিছু শব্দ সুপারিশ করে। থার্ড-পার্টি কিবোর্ডে অ্যাপ সুইফটকি সবচেয়ে উন্নত টেক্সট অনুমান করার অ্যাপ। ব্ল্যাকবেরির ভারচুয়াল কিবোর্ডও বেশ উন্নত।
সোয়াইপ
সোয়াইপ বা এর মতো স্মার্টফোন কিবোর্ডে ব্যবহার করে দ্রুত শব্দ গঠন করা করা যায়। এতে হাতের বুড়ো আঙুল বারবার তোলার সময় বাঁচানো যায়। কিন্তু এতে অনুমাননির্ভর টেক্সট ব্যবহারের সুযোগ নেই। এতে পুরো কিবোর্ড জুড়ে আঙুল নাড়াচাড়া করানোর সুযোগ মেলে।
স্মার্টফোন একপাশে ঘুরিয়ে নিন
আপনার স্মার্টফোনে কিবোর্ডের আকার একটু বড় করতে এটি একপাশে ঘুরিয়ে নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। অর্থাৎ, কিবোর্ডটিকে ল্যান্ডস্কেপ মোডে নিয়ে আসুন। কিবোর্ডে কি এর আকার একটু বড় হলে আঙুল দিয়ে টাইপ করতে সুবিধা বেশি ও ভুল কম হয়।