চোখ পরীক্ষা কার্যক্রম
চোখ পরীক্ষা কার্যক্রম

চালকদের চোখ পরীক্ষা ও চশমা দিচ্ছে ভিশনস্প্রিং ও ডিটিসি

সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে পরিবহনচালকদের চোখ পরীক্ষা ও চশমা দিচ্ছে সামাজিক প্রতিষ্ঠান ভিশনস্প্রিং ও ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)।

ঢাকার পাঁচটি বাস ও ট্রাক টার্মিনালে ১ হাজার চালকের জন্য এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। চলতি জুলাই মাসে গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে ডিটিসিএ এই উদ্যোগ নেয়।

বিশ্বজুড়ে সড়ক দুর্ঘটনার বড় একটি কারণ চালকের ঝাপসা দেখা বা দৃষ্টিশক্তির ঘাটতি।

‘দ্য ল্যানসেট’-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব চালকের দৃষ্টিশক্তি দুর্বল, তাঁদের দুর্ঘটনায় পড়ার ঝুঁকি ৪৬ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশে ২০২৪ সালে ৬ হাজার ৯২৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৭ হাজার ২৯৪ জন। আহত হয়েছেন ১২ হাজার ১৯ জন।

এই পরিস্থিতিতে চালকদের চোখ পরীক্ষা ও প্রয়োজন অনুযায়ী চশমা সরবরাহের মাধ্যমে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমানো এবং সড়ককে নিরাপদ করাই কর্মসূচির লক্ষ্য।

কর্মসূচির উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনউদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহসানুল হক এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী আইনজীবী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) আবদুল লতিফ মোল্লা।

সভাপতিত্ব করেন ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার।

ভিশনস্প্রিংয়ের ‘সি টু বি সেফ’ কর্মসূচির আওতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভারত, নাইজেরিয়া ও জাম্বিয়ায় এ কর্মসূচি এর আগে সফলভাবে চালু হয়েছে। এসব দেশে ইতিমধ্যে ১০ লাখের বেশি চালকের চোখ পরীক্ষা করা হয়েছে।

জাতিসংঘের বৈশ্বিক সড়ক নিরাপত্তা পরিকল্পনাতেও দৃষ্টিশক্তি যাচাইকে দুর্ঘটনা প্রতিরোধের অন্যতম উপাদান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

চোখ পরীক্ষা কার্যক্রম

এক জরিপে দেখা গেছে, পরিবহনচালকদের মধ্যে ৬০ শতাংশের নানা স্বাস্থ্যগত সমস্যা আছে। এদের মধ্যে ৬৬ শতাংশের রয়েছে দৃষ্টিসংক্রান্ত সমস্যা। অর্থাৎ, মোট চালকের প্রায় ৩৯ শতাংশ কোনো না কোনো চোখের সমস্যায় ভুগছেন।

এ সমস্যা চিহ্নিত করে আক্রান্ত চালকদের চশমা সরবরাহের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে চায় ভিশনস্প্রিং ও ডিটিসিএ।

২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত ভিশনস্প্রিং একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান। উন্নয়নশীল দেশে স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে কম দামে চশমা পৌঁছে দেওয়াই তাদের লক্ষ্য।