কুষ্টিয়া আদালত চত্বরে ছাত্রলীগ নেতা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন। বুধবার দুপুরে আদালত চত্বরে
কুষ্টিয়া আদালত চত্বরে ছাত্রলীগ নেতা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন। বুধবার দুপুরে আদালত চত্বরে

কুষ্টিয়ায় আদালতে নেওয়ার সময় ছাত্রলীগ নেতার ‘জয় বাংলা’ স্লোগান

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের একটি হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার থানা থেকে আদালতে নেওয়ার সময় তিনি ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়েছেন।

আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুমারখালী থানা ও বেলা ১টার দিকে কুষ্টিয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। ফরহাদ হোসেন (২৬) নামের ওই ছাত্রলীগ নেতা কুমারখালী উপজেলার এলঙ্গী এলাকার মতি হোসেনের ছেলে। তিনি কুমারখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি।

গত বছরের জুলাই আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত ৩ নম্বর আসামি তিনি। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তাঁকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে কুমারখালী থানায় সোপর্দ করে গোয়েন্দা পুলিশ।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরহাদকে পিঠমোড়া করে হাতকড়া পরিয়ে কুমারখালী থানা থেকে বের করা হয়। এ সময় তিনি গাড়িতে ওঠার সময় কয়েকবার ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন। এরপর পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানে তাঁকে কুষ্টিয়া আদালতে নেওয়া হয়। বেলা একটার দিকে আদালত চত্বরে গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে আবার ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন ফরহাদ। এ সময় আশপাশে ১০ থেকে ১৫ জন তরুণ তাঁর সঙ্গে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন। স্লোগান দিতে দিতে ফরহাদ নিচতলার লিফটের সামনে চলে যান। তবে তাঁর সঙ্গে স্লোগান দেওয়া অন্য তরুণেরা দৌড়ে সেখান থেকে সরে যান।

থানা ও আদালত চত্বরে স্লোগান দেওয়ার একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, কুমারখালী থানা থেকে বের হওয়ার সময় ফরহাদ বলতে থাকেন, ‘তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেব রে, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’ এরপর আদালত চত্বরে নেমে একইভাবে স্লোগান দেন। এ সময় আশপাশে থাকা বেশ কয়েকজন তাঁর সঙ্গে স্লোগান দিতে দিতে আদালত ভবনের নিচতলায় প্রবেশ করেন।

কুষ্টিয়া আদালত পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তিন থেকে চারজন স্লোগান দিয়েছেন। তবে তাঁরা পালিয়ে গেছেন। তাঁরা কারা, শনাক্ত করা যায়নি। আসামি ফরহাদকে জিজ্ঞাসা করলে তিনিও কিছু বলতে পারেননি। পরে আদালতের মাধ্যমে আসামি ফরহাদকে কারাগারে পাঠানো হয়।

কুমারখালী থানার ওসি খন্দকার জিয়াউর রহমান বলেন, ডিবি পুলিশ গতকাল দিবাগত রাতে ঢাকা থেকে ফরহাদকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আদালতে পাঠানো হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আরও বেশ কয়েকটি মামলা আছে।