
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়রা উপজেলার আহ্বায়ক গোলাম রব্বানীকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার সংগঠনের খুলনা জেলা কমিটির দপ্তর সেল সদস্যের স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে কেন গোলাম রব্বানীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তা সাত দিনের মধ্যে লিখিতভাবে সংগঠনকে জানাতে বলা হয়েছে।
আহ্বায়ক গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, হুমকি প্রদানসহ সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া এনসিপির ব্যানারে ইফতার মাহফিল আয়োজনে ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে প্রথম আলোর অনলাইনে ‘কয়রায় এনসিপির কমিটি নেই, তবু ইফতারের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এসব বিষয় তদন্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক মহরম হাসান মাহিম জানান, গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পর্যালোচনা করে প্রাথমিকভাবে তাঁকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। সংগঠনের নিয়ম মেনে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গোলাম রব্বানী কয়েক বছর ধরে কয়রা উপজেলা সদরে ইলেকট্রিক পণ্যের ব্যবসা করে আসছেন। জুলাই আন্দোলন চলাকালে কয়রায় কোনো কার্যক্রম না থাকলেও ৫ আগস্টের পর গোলাম রব্বানী নিজেকে ছাত্র সমন্বয়ক হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করেন। পরে কয়েকজন অনুসারী নিয়ে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন।