
বছর ঘুরে আবার শুরু হতে যাচ্ছে মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)। আগামী ১ জানুয়ারি ঢাকার পূর্বাচলে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে। মেলায় দেশ-বিদেশের মোট ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণিজ্য মেলার ২৭তম এ আসরের উদ্বোধন করবেন।
মেলাপ্রাঙ্গণে বর্তমানে চলছে শেষ মুহূর্তের গোছগাছের কাজ। এ বছর মেলার প্রবেশপথ বা গেটের ইজারা পেয়েছে স্থানীয় রূপগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন ভূঁইয়ার প্রতিষ্ঠান আবদুল্লাহ অ্যান্ড সন্স। ৪ কোটি ৩২ লাখ টাকায় গেটের ইজারা নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গত বছর মীর ব্রাদার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান ইজারা নিয়েছিল। এবার মেলায় প্রবেশ ফি ধরা হয়েছে গত বছরের মতোই, বড়দের ৪০ টাকা আর শিশুদের জন্য ২০ টাকা।
বাণিজ্য মেলার পরিচালক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সচিব আজ মঙ্গলবার ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী জানান, এবারের মেলায় ৩৩১টি স্টলের মধ্যে ৫৭টি প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন। মেলায় সিঙ্গাপুর, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ ১০টি দেশের ১৭টি স্টল থাকবে।
ইপিবি জানায়, গত বছরের চেয়ে এ বছর মেলায় স্টল সংখ্যা ১২৬টি বেড়েছে। এসব স্টলকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৪ হাজার ৩৬৬ বর্গমিটার আয়তনের দুটি হলে। আর কমপ্লেক্সের বাইরেও রয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থেকে সরিয়ে গত বছর প্রথমবারের মতো পূর্বাচলে বাণিজ্য মেলার আয়োজন করে ইপিবি। সে সময় ৩০০ ফুট সড়কের নির্মাণকাজ চলতে থাকায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এবার সে ধরনের ভোগান্তি হবে না বলে জানান ইপিবি সচিব ইফতেখার আহমেদ।
ইফতেখার আহমেদ আরও বলেন, ‘৩০০ ফুট সড়ক এখন যাতায়াতের জন্য প্রস্তুত হয়েছে। ধুলাবালুও কমেছে। এ ছাড়া মেলাপ্রাঙ্গণের সামনের সড়কও সংস্কার করা হয়েছে। মানুষের যাতায়াতের জন্য কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে সাধারণ দিনে অন্তত ৫০টি ও ছুটির দিনে দেড় শতাধিক বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ফলে দর্শনার্থীদের ভোগান্তি হবে না আশা করছি। এ ছাড়া সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য ফুড কোর্ট বা খাবারের দোকান বিবিসিএফইসি ভবনের বাইরে রাখা হয়েছে। সঙ্গে শিশুদের খেলাধুলার জন্য আলাদা জায়গাও রাখা হয়েছে।’
ইপিবি জানায়, গত বছর বাণিজ্য মেলায় ১ কোটি ৬০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানির আদেশ মিলেছিল। আর আনুমানিক ৮০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে সে সময়। এ ছাড়া মেলায় ভ্যাট আদায় হয়েছিল ১ কোটি ৫০ লাখ টাকার মতো। অন্যদিকে গত বছর প্রায় সাড়ে ৯ লাখ ক্রেতা-দর্শনার্থীর সমাগম ঘটেছিল।