বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অস্থিসন্ধি বা বিভিন্ন জয়েন্টের ক্ষয়জনিত ব্যথায় ভোগেন অনেকেই। কিছু জয়েন্টে জড়তা চলে আসে, নড়াচড়া করলে কষ্ট হয়। আমাদের চলাফেরা, কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করে এসব সন্ধি। তাই সন্ধি ভালো না থাকলে স্বাভাবিক চলাফেরা ও কাজকর্ম বাধাগ্রস্ত হয়।
সন্ধির সমস্যার কারণে বয়স্ক ব্যক্তিদের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হয়। তাই সচেতন হতে হবে তরুণ বয়স থেকেই। জেনে নিন জয়েন্টের সুস্থতায় তরুণ বয়স থেকেই কী করতে পারেন।
জয়েন্ট সুস্থ রাখার সেরা উপায় হলো গতিশীলতা। সচল ও সক্রিয় থাকা। আপনি যত সচল থাকবেন, ততই আপনার জয়েন্টে জড়তা আসার ঝুঁকি কমবে। তাই দীর্ঘ সময় বসে থাকা এড়িয়ে চলুন। ডেস্ক বা চেয়ার ছেড়ে উঠুন, সামান্য হাঁটাহাঁটি করুন।
অতিরিক্ত ওজন হিপ জয়েন্ট, হাঁটু এবং মেরুদণ্ডের বিভিন্ন অস্থিসন্ধির ওপর বাড়তি চাপ ফেলে। ফলে এই সব জয়েন্টে ক্ষয় শুরু হয়। তাই ওজন রাখুন নিয়ন্ত্রণে। এমনকি জয়েন্টের ব্যথা বা আর্থ্রাইটিসে ভুগতে শুরু করার পরও যদি কিছুটা ওজন কমানো যায়, তাতেও উপকার মিলবে। যদিও ব্যথা শুরু হওয়ার পর ওজন কমানোর কাজটা বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়ায়। তাই তরুণ বয়স থেকেই সচেতন হোন।
সপ্তাহে অন্তত তিনবার স্ট্রেচিং করা প্রয়োজন। তবে তার আগে সামান্য ওয়ার্ম আপ করে নিতে ভুলবেন না। অন্তত মিনিট দশেক হালকা হাঁটাচলা করার পর স্ট্রেচিং করুন। নইলে জয়েন্ট, লিগামেন্ট কিংবা টেন্ডনে আঘাত পেতে পারেন।
শরীরচর্চা নিঃসন্দেহেই আপনার জয়েন্টের জন্য ভালো। তবে এমন ব্যায়াম বেছে নিন, যা করতে গিয়ে আপনার জয়েন্টের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে না। ব্যায়াম শুরুর আগে নিজের শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় রাখুন। দিনে দিনে অভ্যস্ত হয়ে উঠলে তবেই ভারী ব্যায়াম করুন। সাঁতার দারুণ ব্যায়াম, এতে জয়েন্টের ওপর চাপ পড়ে না।
বসা, দাঁড়ানো ও হাঁটার সময় শরীর সোজা রাখুন। ঝুঁকে থাকবেন না। অনেকের ক্ষেত্রে খানিকটা ঝুঁকে থাকাই অভ্যাস হয়ে ওঠে। দেহভঙ্গির বিষয়ে সচেতন থাকা আবশ্যক। বসার সময় আর্গোনমিক চেয়ার ব্যবহার করা ভালো। তাতে দেহভঙ্গি ঠিক থাকে। সাঁতার কাটলে কিংবা দ্রুতগতিতে হাঁটলে দেহভঙ্গি ঠিক করা সহজ হয়।
ভারী জিনিস ওঠানো ও বহন করার সময় সতর্ক থাকুন। ওজন ওঠানোর সময়ও দেহভঙ্গি ঠিক রাখুন। হাতে ভারী ব্যাগ বহন করার চেয়ে ব্যাকপ্যাক ভালো। অন্যান্য ব্যাগও হাতে না নিয়ে কাঁধে নিতে চেষ্টা করুন।
সূত্র: ওয়েব এমডি