বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন। আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার বিরতিতে
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন। আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার বিরতিতে

এনসিসির সংশোধিত প্রস্তাবে একমত জামায়াত

জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) নাম ও কাঠামো পরিবর্তনের যে প্রস্তাব জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে দিয়েছে, তার সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একমত পোষণ করেছে। দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার বিরতিতে এ কথা জানান আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

জামায়াতের এই নায়েবে আমির বলেন, তাঁরা লিখিতভাবে কমিশনে যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, সেখানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতিকে প্রস্তাবিত এনসিসিতে না রাখার কথা বলেছিলেন। ঐকমত্য কমিশন সেটার (এনসিসি) নাম ও কাঠামো পরিবর্তনের প্রস্তাব (সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি) দিয়েছে। আজকের আলোচনায় একটি দল ছাড়া সবাই এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন। জামায়াতে ইসলামীও এ প্রস্তাবের সঙ্গে একমত।

প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদের বিষয়ে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, তিনটি দল ছাড়া সবাই এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন—এ বিষয়ে একমত হয়েছে। বিষয়টি পরপর দুই মেয়াদের নয়, সর্বোচ্চ ১০ বছর। তবে কোনো কারণে মেয়াদ পূর্তির আগেই সংসদ ভেঙে গেলে এটি তিন মেয়াদও হতে পারে।

আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানান, আজকের বৈঠকে রাষ্ট্রীয় মূলনীতির ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সাম্য, মানবাধিকার, গণতন্ত্র, ধর্মীয় স্বাধীনতা—এ চারটি বিষয় সন্নিবেশিত করা হয়। এটাতে কমিউনিস্ট পার্টি ও কয়েকটি বাম দল ছাড়া আর সবাই ঐকমত্য পোষণ করেছে। পঞ্চম সংশোধনী যেটি আছে, তাঁরা বলেছেন সেটা থাকবে। পঞ্চদশ সংশোধনী যেটা আওয়ামী লীগ করেছিল, সেটা বাতিল হয়ে যাবে। এর সঙ্গে নতুন উল্লিখিত শব্দগুলো সংযোজিত হবে। এ বিষয়ে অধিকাংশই একমত।

আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, বাংলাদেশ মুসলিমপ্রধান দেশ। এ দেশের জনগণের সেন্টিমেন্ট হচ্ছে আল্লাহর ওপর বিশ্বাস, আস্থা, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। এগুলো সংবিধানে রাখার পক্ষে তাঁরা। সে অনুযায়ীই তাঁরা তাদের মত দিয়েছেন। তাঁরা মনে করছেন, এটি সংযোজন করা অপরিহার্য।