ভারত–পাকিস্তান ম্যাচে মাঠেও এমন বিরোধ দেখা গেছে। ছবিটি গত পরশু এশিয়া কাপের ম্যাচে তোলা
ভারত–পাকিস্তান ম্যাচে মাঠেও এমন বিরোধ দেখা গেছে। ছবিটি গত পরশু এশিয়া কাপের ম্যাচে তোলা

ভারত-পাকিস্তান: হাত মেলানো বন্ধ, হাই–হ্যালোও নেই, বন্ধুত্বও কি আছে

টানা দুই রোববারে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ। দুটিতেই জয়ী দলের নাম ভারত। পার্থক্য বলতে ফলের ব্যবধান। প্রথমটিতে পাকিস্তানকে ১৩১ রানে আটকে দিয়ে ভারত জিতেছিল ৭ উইকেটে। দ্বিতীয়টিতে পাকিস্তান আরও ৪০ রান বেশি করেছে, ভারত জয়ের পথে আরও এক উইকেট বেশি হারিয়েছে।

ফল একই বলেই হয়তো দুই ম্যাচের পার্থক্য বোঝাতে ভারত অধিনায়ককে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, পাকিস্তানের খেলার মান আগের ম্যাচের তুলনায় বেড়েছে কি না। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনকক্ষে বসে সূর্যকুমার যাদব সরাসরি উত্তর দিলেন না। যা বললেন, তাতে মনে হলো ভারত-পাকিস্তান প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে আলোচনার ইতি টানার আহ্বানই জানালেন তিনি, ‘আমার মনে হয় আপনাদের এই রাইভালরি (দ্বৈরথ) নিয়ে প্রশ্ন বন্ধ করা উচিত।’

কেন বন্ধ করা—উচিত সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন এরপর। বলেছেন, দুটি দল ১৫–২০ ম্যাচ খেলে ফেলার পর জয়–হারের স্কোরলাইন কাছাকাছি হলেই সেটা দ্বৈরথ বলা যায়। এক দল বড় ব্যবধানে এগিয়ে থাকলে সেটি দ্বৈরথ হয় না।

সূর্যকুমারের কথা মিথ্যা নয়। গতকাল এশিয়া কাপ সুপার ফোরের ম্যাচটিসহ দুই দলের সর্বশেষ ৬ ম্যাচেই জিতেছে ভারত। শুধু টি–টোয়েন্টিও যদি বিচার করা হয়, এযাবৎ দুই দলের খেলা ১৫ ম্যাচের ১১টিতেই জয়ী দলের নাম ভারত, পাকিস্তান জিতেছে মাত্র তিনটিতে (একটি টাই)।

সুতরাং রাইভালরি বলতে যা বোঝানো হয়, প্রতিদ্বন্দ্বিতা, লড়াই—সেটা ভারত–পাকিস্তান ম্যাচে এখন আর আসলেই নেই। কিন্তু ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যে কথা বলেননি, সেটা হচ্ছে দুই দলের খেলোয়াড়দের বন্ধুত্বও হয়তো আর নেই।

ভারত টি–টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব

যে ম্যাচ শেষে ভারত অধিনায়ক ‘রাইভালরি’ শব্দের ইতি টানার কথা বলেছেন, সেই ম্যাচ আর তার আগেই ম্যাচেই ছড়িয়ে আছে রাশি রাশি উদাহরণ। এমনকি নজির বলা যেতে পারে সূর্যকুমারের ১৯ সেপ্টেম্বর রাতের সংবাদ সম্মেলনকেও।

যখন সাংবাদিকেরা তাঁকে ছয়বার পাকিস্তান–বিষয়ক প্রশ্ন করার পর তিনি একবারও দেশটির নাম মুখে নেননি। প্রতিবার উত্তর দিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু ‘পাকিস্তান’ উচ্চারণ পাশ কাটিয়ে। যেমনটা পাশ কাটিয়ে গেছেন ১৪ সেপ্টেম্বর টসের সময় পাকিস্তান অধিনায়কের সঙ্গে হাত মেলানোর সময়টায়।

খেলার মাঠে অনেক সময় হাতাহাতি হয়, মারামারিও বিরল নয়। কিন্তু প্রতিটি ম্যাচে নির্দিষ্ট কিছু পর্ব আছে, যখন তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরও দুই দলের খেলোয়াড়েরা সৌজন্যতা দেখান। ক্রিকেটে এ কাজটা হয় টসের সময় দুই অধিনায়কের মধ্যে, ম্যাচের শেষে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে।

পরে ব্যাটিং করা দলের ব্যাটসম্যানেরা ড্রেসিংরুমে থাকলেও ম্যাচ শেষ হতেই মাঠে ছুটে যান। হাত মেলান, ছোটখাটো বাতচিৎ করেন। এমনকি পুরস্কার বিতরণীয় সময় এক দলের খেলোয়াড়ের কাঁধে হাত রেখে আরেক দলের খেলোয়াড়দের দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা যায়। এসবে বিশেষ কিছু যে আসে–যায়, তা নয়। কিন্তু মাঠের লড়াই শেষ, আমরা সবাই খেলোয়াড়, সবাই এক—এই আবহটাই ছড়িয়ে দেওয়া হয় এসবের মাধ্যমে।

মাত্র সাত মাস আগেই, ২৩ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচে দৃশ্য ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। টসের কয়েন ওপরের দিকে ছুড়ে মারার আগে হাসাহাসি করলেন দুই অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। এরপর হাত মেলালেন।

কিন্তু ব্যতিক্রম দেখা গেল এশিয়া কাপ গ্রুপ পর্বের ম্যাচে টসের সময় পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আগার সঙ্গে ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমারের হাত না মেলানোর মধ্য দিয়ে। এমনকি ম্যাচ শেষ হওয়ার পরও ভারতের খেলোয়াড়েরা পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাত মেলাননি। বরং টিভি ক্যামেরায় দেখা গেছে, খেলা শেষ হতেই ড্রেসিংরুমের দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন ভারতের ক্রিকেটাররা।

ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট

ম্যাচের আগে–পরে হাত মেলানো ক্রিকেটের অবশ্যপালনীয় কিছু নয় বলে পাকিস্তান দল ভারতের এই আচরণ নিয়ে কোনো আপত্তি জানাতে পারেনি। তবে ক্ষোভ মেটাতেই হয়তো ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটকে রীতিমতো কাঠগড়ায় তুলেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।

সূর্যকুমার হাত মেলাবেন না জানার পর তিনিই টসের আগে পাকিস্তান অধিনায়ককে বিষয়টা বলেছিলেন। কেন ম্যাচ রেফারি হয়ে ভারতের বার্তাবাহক হয়েছেন এবং ইতিবাচক পরিবেশ তৈরিতে ভূমিকা রাখেননি, এ নিয়েই পাইক্রফটকে এশিয়া কাপ থেকে বাদ দেওয়ার দাবি তুলেছিল পিসিবি। সেটা সফল না হলেও রেফারিকে একপ্রকার বাধ্য করেছে টসে হাত না মেলানো নিয়ে তার অবস্থান ব্যাখ্যা করতেও।

এরপর ২১ সেপ্টেম্বরের ভারত–পাকিস্তান সুপার ফোর পর্বের ম্যাচেও দেখা গেল একই চিত্র। টসে হাত মেলালেন না দুই অধিনায়ক। ম্যাচের শেষেও সৌজন্যতার করমর্দন হলো না দুই দলের খেলোয়াড়–কোচিং স্টাফদের। ভারত কোচ গৌতম গম্ভীর অবশ্য এ দফায় ‘প্রটোকলে’ কিছুটা ভিন্নতা এনেছে। খেলোয়াড়দের ড্রেসিংরুম থেকে ডেকে মাঠে নামিয়েছেন।

এরপর সূর্যকুমাররা মাঠে এসে আম্পায়ারদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। বার্তা স্পষ্ট, অন্যদের সঙ্গে হাত মেলালেও পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের সঙ্গে নয়।

সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনার পর সেই পুরোনো আবহ দ্রুত বদলে যেতে শুরু করেছে। মাঠের সৌহার্দ্য ছাপিয়ে এখন দৃশ্যমান হচ্ছে রাজনীতির ছায়া। এপ্রিলের শেষ দিকে কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকেই ভারত নিল ভিন্ন পথ।

কিন্তু মাত্র সাত মাস আগেই, ২৩ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচে দৃশ্য ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। টসের কয়েন ওপরের দিকে ছুড়ে মারার আগে হাসাহাসি করলেন দুই অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। এরপর হাত মেলালেন। ম্যাচের শেষের সৌজন্য তো ছিলই।

ভারত-পাকিস্তান মাঠের লড়াইয়ে যত প্রতিদ্বন্দ্বিতাই থাক না কেন—ব্যাট–বলের লড়াইয়ের বাইরে দুই দলের খেলোয়াড়দের সৌহার্দ্য, সম্প্রীতির এমন চিত্র সব সময়ই ছিল। বিভিন্ন সময় খেলোয়াড়দের স্মৃতিচারণায়, সংবাদপত্রের পাতায়, ইউটিউবের আলোচনায় এমন দৃষ্টান্তই উঠে এসেছে।

পাকিস্তান কিংবদন্তি ফজল মাহমুদ

১৯৪৭ সালে দেশভাগের অশান্ত সময়ে ফজল মাহমুদকে উগ্রপন্থীদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন ভারতীয় কিংবদন্তি সি কে নাইডু। যে গল্প পরে মাহমুদ তাঁর ‘ফ্রম ডাস্ক টু ডন’ বইয়ে লিখেছিলেন। ১৯৮৭ সালের হোলি উৎসবের স্মৃতি ভারতীয় উইকেটকিপার কিরণ মোরে আজও মনে করেন জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত। পাকিস্তানি খেলোয়াড়েরাও সেই উৎসবে মেতে উঠেছিলেন।

সুনীল গাভাস্কার একবার বলেছিলেন, ‘আমি টেস্ট ক্রিকেটে ১০ হাজার রান করার সুযোগ পেয়েছিলাম ইমরান খানের কারণে। আমরা একজন বন্ধুর সঙ্গে লন্ডনে এক ইতালীয় রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলাম লাঞ্চে। আমি তাকে বললাম, এটাই আমার শেষ সিরিজ। তখন ইমরান আমাকে বলল, “না না, পাকিস্তান যাচ্ছে ভারতে। আমি চাই তোমাকে নিয়ে ভারতকে হারাতে। তোমাকে ছাড়া ভারতকে হারাতে চাই না, সেটি একরকম হবে না।”’

এভাবেই মাঠের লড়াইয়ের বাইরে সম্পর্কের উষ্ণতা থেকে গেছে অবিচ্ছিন্নভাবে। এমনকি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপের সময় কলম্বোয় যশপ্রীত বুমরাকে তাঁর নবজাতক সন্তানের জন্য উপহার তুলে দিয়েছিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। সে আসরে বৃষ্টির কারণে সুপার ফোর পর্বের ম্যাচ মাঠে শুরু না হওয়াতে দুই দলের খেলোয়াড়েরা একসঙ্গে বসে আড্ডাও দিয়েছিলেন। আর সেটা ক্যামেরার সামনেই।

এরপর ভারতের মাটিতেই অনুষ্ঠিত ২০২৩ বিশ্বকাপে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচের পর বাবর আজমের হাতে জার্সি তুলে দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। যার রেশ বজায় ছিল গত ২৩ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচেও।

অতীতে দশকের পর দশক চলমান কূটনৈতিক সমীকরণের উত্থান–পতন খেলোয়াড়দের বন্ধুত্ব বা আচরণকে নাড়াতে পারেনি। রাজনৈতিক দৃষ্টি তাদের ওপর চাপ তৈরি করেনি। কিন্তু এবারের এশিয়া কাপে হাত না মেলানো আর পাকিস্তানের নামও উচ্চারণ না করায় বোঝা যায়, এখন থেকে ক্রিকেটারদের প্রতিটি নড়াচড়াই রাজনীতির আয়না দিয়ে দেখা হবে।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনার পর সেই পুরোনো আবহ দ্রুত বদলে যেতে শুরু করেছে। মাঠের সৌহার্দ্য ছাপিয়ে এখন দৃশ্যমান হচ্ছে রাজনীতির ছায়া। এপ্রিলের শেষ দিকে কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকেই ভারত নিল ভিন্ন পথ। হামলার ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করে সে দেশে হামলা করে বসে ভারত। পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তানও। চার দিনের সামরিক সংঘাত শেষে যুদ্ধবিরতি হলেও তিক্ততা আর কমেনি। ক্রিকেটে যা নগ্নভাবে ফুটে ওঠে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লেজেন্ডসের সময়।

জুলাইয়ে যুক্তরাজ্যে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে অন্যান্য দলের সঙ্গে ভারত ও পাকিস্তানের সাবেক খেলোয়াড়দের দলও ছিল। এই খেলোয়াড়েরা সবাই নিজেদের খেলোয়াড়ি জীবনে নিজেদের মধ্যে সম্পর্কের সৌহার্দ্য বজায় রেখেছেন। কিন্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বদেশিদের চাপে হোক বা নিজেদের ভাবনায় বদলের কারণে হোক, ভারতের চার–পাঁচজন খেলোয়াড় পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কট করেন। শিখর ধাওয়ান, হরভজন সিং, ইউসুফ পাঠানের মতো খেলোয়াড়দের আপত্তিতে শেষ পর্যন্ত ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ হয়ইনি। গ্রুপ পর্বের পর সেমিফাইনাল—দুই সপ্তাহের মধ্যে এমন ঘটেছে দুবার।

বুমরাকে তাঁর নবজাতক সন্তানের জন্য উপহার দিয়েছিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি

এর পর থেকে ভারতের অভ্যন্তরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলা নিয়ে আপত্তি দিন দিন জোরালো হয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্যের মধ্যে গত মাসে ভারত সরকার জানিয়ে দেয়, ভারত ক্রিকেট দল পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলবে না। তবে আইসিসি বা এসিসির টুর্নামেন্টে মুখোমুখি হতে বাধা নেই। এক যুগের বেশি সময় ধরে পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ না খেললেও এটিই ছিল ভারত সরকারের নীতিগত অবস্থানের প্রথম আনুষ্ঠানিক বক্তব্য।

তবে সরকারের অবস্থান জানার পরও ভারতের অভ্যন্তরে পাকিস্তান ম্যাচ বয়কটের আওয়াজ বন্ধ হয়নি। হয়তো সেটির প্রভাবেই ভারতের নতুন অবস্থানের প্রকাশ ১৪ সেপ্টেম্বর সালমান আগার সঙ্গে সূর্যকুমারের হাত না মেলানোর মধ্য দিয়ে।

ম্যাচ শেষে ভারত অধিনায়ক সংবাদ সম্মেলনেই স্পষ্ট করেছেন, ভারত সরকার ও বিসিসিআইয়ের পরামর্শক্রমেই এমন অবস্থান নিয়েছে তাঁর দল। আর তারই বর্তমান রূপ, মাঠে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হাই–হ্যালোও বন্ধ। ব্যাট–বলের খেলায় রাইভালরি তো নেই–ই, বন্ধুত্বও নেই।

এবার এশিয়া কাপে টসের সময় ভারত ও পাকিস্তানের অধিনায়ক কেউ কারও সঙ্গে হাত মেলাননি

অতীতে দশকের পর দশক চলমান কূটনৈতিক সমীকরণের উত্থান–পতন খেলোয়াড়দের বন্ধুত্ব বা আচরণকে নাড়াতে পারেনি। রাজনৈতিক দৃষ্টি তাদের ওপর চাপ তৈরি করেনি। কিন্তু এবারের এশিয়া কাপে হাত না মেলানো আর পাকিস্তানের নামও উচ্চারণ না করায় বোঝা যায়, এখন থেকে ক্রিকেটারদের প্রতিটি নড়াচড়াই রাজনীতির আয়না দিয়ে দেখা হবে।

খেলোয়াড়েরা হাত মেলাবেন কি না, কীভাবে উদ্‌যাপন করবেন, কেউ বিস্ফোরক কোনো মন্তব্য করবেন কি না, সাধারণ আলাপচারিতায় জড়াবেন কি না, প্রতিপক্ষের সাফল্যে হাত–মুখের প্রতিক্রিয়া কী—এই প্রতিটি সাধারণ আচরণ বা সেটি না করার প্রতিটি মুহূর্তই আতশি কাচের নিচে বিশ্লেষণ করা হয়।

যা বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণের বদলে দেবে সম্পূর্ণ উল্টো বার্তা। খেলাধুলার সঙ্গে যা বেমানান। বড্ড বেমানান।